শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, পরিবার অবরুদ্ধ :এলাকায় উত্তেজনা কারো নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন : আইন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন তাড়াইলে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত শ্রম অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ: শ্রম উপদেষ্টা করোনায় আরও ১০ জন আক্রান্ত হাসপাতালগুলোতে আবার চালু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক : পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা জুয়া ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে কেন্দুয়ায় বড়তলা যুব ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন

হরিরামপুরের ঝিটকা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দোকান পুরে ছাই, ক্ষয়ক্ষতি কোটি টাকা

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
  • ৫৭৫৮ বার পঠিত

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের ৩টি দোকান সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত ও আরো কয়েকটি দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) সকালে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা ছাড়া এটি নেভানো সম্ভব হয়নি।

পরে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ৩টি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় আরও ৩টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে ফার্মেসী, জুতা, পোশাক, সেলুন ও মোবাইলের দোকান ছিল। ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের সব দোকান মালামালে ভরপুর ছিল। দোকান ও মালামাল মিলে কয়েক কোটি টাকার ওপরে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমাদের পুঁজি ও জীবনের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে ভয়াবহ এ আগুনে পুরো ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসন সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছেন। অন্যদিকে স্থানীয়রা কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার মো. সোলাইমান মিয়া জানান, আমরা খবর পেয়েই তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাই এবং ৯.৫০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আগুনে ৩টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ও আরো কয়টি দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আরও বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..