দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি বিদেশ নেয়ার অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, শারীরিক অবস্থা আল্লাহর অশেষ রহমতে যদি স্থিতিশীল হয়, তখন চিন্তা করে দেখা হবে যে তাকে বিদেশে নেয়া হবে সম্ভব হবে কিনা।
ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় এভার কেয়ার হাসপাতালে আছেন, তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা সংকটাপন্ন। দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ, আমেরিকার জন হপকিন্স এবং লন্ডন কনিকের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা করছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে তারা একটা মেডিকেল বোর্ড সভা করেছেন। সেখানে তারা সমস্ত চিকিৎসকের মতামত নিয়ে কথা বলেছেন এবং কীভাবে তারা চিকিৎসা করবেন এবং সে চিকিৎসা কী ধরনের হবে, সে বিষয়ে তারা মতামত দিয়েছেন নিজেদের মেডিকেল বোর্ডে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন, এ কথা তারা (চিকিৎসকেরা) বলছেন যে হয়ত প্রয়োজন হতে পারে; কিন্তু তার এখন যে শারীরিক অবস্থা তাকে বিদেশে নেয়ার মত কোনো শারীরিক অবস্থা নেই।
তবে বিদেশে নেয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো রয়েছে- ভিসা, অন্যান্য দেশের সঙ্গে.যেসব দেশে যাওয়া সম্ভব হতে পারে, সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাপারগুলো নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ এগিয়ে আছে। অর্থাৎ যদি প্রয়োজন হয় এবং দেখা যায় যে সি ইজ রেডি টু ফ্লাই, তখন তাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়বলে শুক্রবার জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) মির্জা ফখরুল বলেন, তার (বেগম খালেদা জিয়া) মেডিক্যাল বোর্ড লন্ডনে তার চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য ভিসা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সকল ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।