বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ফৌজিয়া সাফদার সোহেলী হাতিয়ার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি অঙ্গীকার ৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল অনিয়ম, ঘুষ,দুর্নীতির আখড়া প্রাণ-আরএফএলের নামে বিষাক্ত পন্য তৈরির অভিযোগ এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম হঠাৎ অস্থির ডালের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা প্রচলিত প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান

আগের রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ বিএনপির বরিশাল সমাবেশস্থল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬১৫৪ বার পঠিত

রাত পোহালেই বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ। তবে সমাবেশের আগের রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান। গতকাল বৃহস্পিতবার (৩ নভেম্বর) রাতের মতো শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতেও নেতা-কর্মীরা সমাবেশের মাঠে অবস্থান করছেন। তবে গত রাতের তুলনায় আজ লোকসমাগম বেড়েছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, এবারের গণসমাবেশে লোকসমাগমে অতীতের রেকর্ড ভেঙে যাবে। দফায় দফায় মিছিল স্লোগান দিয়ে সরগরম করে রাখা হয়েছে সমাবেশস্থল। পুরো উদ্যান ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা বরিশালে অবস্থান করলেও তারা সমাবেশস্থলে আসেননি।

বিভাগীয় এই গণসমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হাসান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল বরিশালে রয়েছেন।

গণসমাবেশের সভাপতি বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, অন্যান্য বিভাগের মতো বরিশালেও বাধা দিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশস্থল ইতোমধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখনো নেতা-কর্মীরা আসছেন। তাদেরকে পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। সরকারের কোনো বাধাই এখন কাজে আসলো না। মানুষ আর এই সরকার চায় না বলেই শত বাধা-নির্যাতন সত্যেও সমাবেশে ঢল নেমেছে। আগামীকালের ঐতিহাসিক সমাবেশে সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গণসমাবেশ বাস্তবায়ন উপ-কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, সকল বাধা উপক্ষো করে জেলা ও উপজেলার নেতা-কর্মীরা এসে ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশে একইভাবে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে সফল হয়নি সরকার। বরিশালেও গণজোয়ার অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের পর শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে। এটি বিএনপির পঞ্চম বিভাগীয় গণসমাবেশ।

ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। মিছিল আর বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল। শনিবার দুপুর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..