বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল অনিয়ম, ঘুষ,দুর্নীতির আখড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম হঠাৎ অস্থির ডালের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা প্রচলিত প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত’

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা, মন্ত্রিসভার ৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬১১৫ বার পঠিত

২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ (সঙ্কটময় বছর) আশঙ্কায় ছয় নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেগুলো হলো- খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানো, খাদ্য আমদানিতে উৎসকর স্বস্তিদায়ক নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানো এবং খাদ্য মজুত স্বস্তিদায়ক রাখা।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রণালয় বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, বৈশ্বিক যে অবস্থা সামনে আসছে, তাতে আমাদের যে প্রবলেম বা ক্রাইসিস দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিসেন্টলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণগুলো যা বলছে যে তিনটি কারণে ২০২৩ সাল খুবই একটা ক্রাইসিস বছর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক যেহেতু সুদের হার বৃদ্ধি করেছে, করোনা মহামারি অর্থনৈতিক অবস্থা রিকভারি হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে যে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে নেতিবাচক প্রভাব এবং চীন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, যা বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে। এ তিনটি জিনিসকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক যে বিশ্লেষণ আসছে তাতে বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল একটা ক্রাইসিস ইয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবাইকে এ অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা যে অবজারভেশন দিচ্ছেন- সর্বাবস্থাতেই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা যতই খাদ্য আমদানির কথা বলি, এটা ক্রাইসিস থাকবে। যদিও ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে খাদ্যের ব্যাপারে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এটার একটা ম্যাটার করবে। আর ফরেন কারেন্সির একটা ক্রাইসিস হচ্ছে, যে কারণে ফেডারেল রিজার্ভের ইন্টারেস্ট বৃদ্ধির ফলে যেসব দেশ লোন নিয়ে কাজ করে বা আমদানি বেশি তাদের দুই দিক দিয়েই অসুবিধা হচ্ছে। একটা হলো আমরা যখন টাকা দিচ্ছি তখন বেশি দিচ্ছি এবং যখন নিচ্ছি তখন কম পাচ্ছি।

সে কারণে ডাবল নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য আমাদের সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। আমরা দেখছি কৃষি, মৎস্য, লাইভস্টকে বেশকিছু নতুন নতুন ভ্যারাইটি আসছে। এগুলো রিপ্লেস করলে উৎপাদন দ্বিগুণের কাছাকাছি চলে যাবে ইনশাল্লাহ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমরা যদি বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ জনবল পাঠাই তাহলে তাদের জন্য উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ থাকবে। যেসব দেশে শ্রমিক পাঠানো হবে সেসব দেশে চাহিদা অনুযায়ী যেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা হয়। তাদের সনদগুলো যেন সঠিক প্রতিষ্ঠান থেকে পায়।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সার্কুলার জারি করেছে যে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে কাউকে ফি দিতে হবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে সেই ব্যাংকই এটা হ্যান্ডেল করবে কীভাবে তাদেরকে বেনিফিট দেওয়া যায়। যারা রেমিট্যান্স পাঠাবে তাদের যেন সহজ শর্তে নাম এবং এনআইডি দিয়ে পাঠানো যায় কি না?

বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বিনিয়োগের যেসব শর্ত আছে সেগুলো আরও সহজ করা যায় কি না। আমরা কাজ করছি যে একদম বিডাতেই যাবেন বিনিয়োগকারীরা। সেখানে তিন-চারটা উইন্ডো থাকবে, যাতে বিনিয়োগকারীকে অন্য জায়গায় আর যেতে না হয়।

খাদ্য মজুত প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের দেশ এখন যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছে। বেসরকারি সেক্টরকেও ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা সাপ্লিমেন্টারি পণ্য আমদানি করে তাদেরকে সেসব দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দেওয়া যায় কি না। খাদ্য আমদানিতে ট্যাক্স কমফোর্টের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উৎসে কর দিতে হয়। এনবিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আলাপ-আলোচনা করে যেন দ্রুত সন্তোষজনক অবস্থায় চলে যায়। অনাবাদী সব জমি চাষের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।