বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বালু নয়, সৈকত বাঁচাও — শুভসন্ধ্যা সৈকতে মানববন্ধন তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই লাকী কুপন বিক্রি! টাকা লোপটের অভিযোগ তাড়াইলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সুবিদখালী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটি ঘিরে উত্তেজনা তাড়াইলের তালজাঙ্গা বাজারে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া: বিলুপ্তির পথে শতবর্ষী ঐতিহ্য গনমাধ্যম কর্মীদের প্রাননাশের হুমকি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা শুভেচ্ছা সফরে রাশিয়ান নৌবাহিনী জাহাজের বাংলাদেশে আগমন সাবেক এমপি মতিউর রহমান তালুকদার আর নেই হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে সম্মিলিতভাবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৮২৯ বার পঠিত
ফাইল ছবি

ইদানীং পত্রপত্রিকায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের খবর যখন আমাদের আশান্বিত করে তুলছিল, তখন এই ৪৫ জন ছাত্রীর বিয়ের কারণে পরীক্ষায় না বসার খবরটি আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।

শুক্রবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক খবরে বাল্যবিবাহের কারণে এই ৪৫ জন ছাত্রীর পরীক্ষায় না বসার বিষয়টি জানা যায়। খবর অনুযায়ী, এই ছাত্রীরা যেসব স্কুলে এত দিন পড়ালেখা করে আসছিল, সেসব স্কুলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত নানা সচেতনতামূলক সভা করা হয়। শ্রেণিকক্ষে বাল্যবিবাহের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীদের ধারণা দেওয়া হয়। কিন্তু এসব উদ্যোগ যে খুব একটা কাজে আসেনি, ৪৫ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহের শিকার হওয়াই তার প্রমাণ।

তাহলে করণীয় কী? চলতি বছরেই দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন হয়েছে। তবে ওই আইনের একটি বিশেষ বিধান অনুযায়ী, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশে এবং পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সম্মতিক্রমে বাল্যবিবাহ হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। হতে পারে এই ৪৫ জন ছাত্রীর অভিভাবকেরা ওই বিশেষ বিধানের সুযোগ নিয়ে তাদের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন।

আমরা মনে করি, কোনো অবস্থায়ই বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে এ আইনটি সংশোধন করা হোক। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাঁদের জন্য নিয়মিত আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে, যেখানে তাঁরা বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো ও সুশীল সমাজের সদস্যরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেন।

 বাল্যবিবাহ রোধের পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..