শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার হিংসা অবিচারের : আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা জন্মদিনে মৃত্যু, বিবাহবার্ষিকীতে দাফন; এএক হৃদয়বিদারক বিদায়ের গল্প ছোটদের বড় ভাবনা: রাজধানীর পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্রেক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা

লাভজনক হওয়ায় হরিরামপুরে পেঁয়াজ চাষের ধুম

দিপংকর মন্ডল , হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৮৫ বার পঠিত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় হালি পেঁয়াজ
চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। অন্যান্য সব ফসলের মধ্যে এই পেঁয়াজ চাষ করেই নিজেদের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা। তবে এ বছর হরিরামপুরে পেঁয়াজের চাষাবাদ বেড়েছে প্রায় লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ জমিতে। তাই চাষ বাড়ায় লোকসানের শঙ্কা মাথায় নিয়েই দিনরাত এক করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা, চলতি অর্থবছরে এই উপজেলায় প্রায় ২৮৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম ভালো ও লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে এবার বেড়েছে পেঁয়াজের আবাদ। তাই মাঠের হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সরেজমিনে উপজেলার গালা, চালা, বাল্লা, গোপীনাথপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষক-শ্রমিক, তরুণ-যুবক ও শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী লোকজন মিলে ১০-১৫ জন দলবদ্ধভাবে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছে। একজন লোহার লাঙ্গল দিয়ে সারি টানছেন। আর বাকিরা সেই সারিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন।

উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কৃষক সুকুমার মন্ডল জানান, বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় অতীতের তুলনায় অধিক জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। কিন্তু এবছর পেঁয়াজ চাষে বিঘাপ্রতি খরচ বেড়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। পেঁয়াজের দামও এখন কমে গেছে। জমিচাষ, বীজ, চারা রোপণ, পরিচর্যা ও সার-কীটনাশকসহ প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই লাভ হবে কিনা সে দুশ্চিন্তা থেকেই যায়।

একই ইউনিয়নের শাখিনী গ্রামের কৃষক মনির হোসেন জানান, দুই বিঘা জমিতে চারা রোপণ করছি। এবার ৩ হাজার সাতশত টাকা মনে পেঁয়াজের হালি কিনতে হয়েছে। সবমিলিয়ে আমার বিঘাপ্রতি খরচ পড়বে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চরপারা গ্রামের আরমান মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, গত মৌসুমে প্রথম দিকে কৃষকরা লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষাবাদে হতাশ হয়েছিল। তবে শেষ সময়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তাই অসময়ে ভাল দাম পাওয়ার জন্যই এবছর পেঁয়াজের আবাদ বাড়ছে। শেষ সময়ে ভাল দামে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, চলতি অর্থবছরে এ উপজেলায় প্রায় ২৮৩০ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার মাঠের হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে প্রায় ৪০০০ হেক্টরের অধিক জমিতে পেঁয়াজ চাষ হবে বলে আশা করছি। এ উপজেলার কৃষকদের সবসময় কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করি এবছর উপজেলায় পেঁয়াজের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে। গতবছর পেঁয়াজের চড়া দাম থাকায় এবছর পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়িয়েছে কৃষকরা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..