ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা শিক্ষার উর্বর ভূমি মুশুলী ইউনিয়নের শিল্প ও বানিজ্যিক উপশহর খ্যাত তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল ( ডিগ্রী ) মাদরাসাটি নরসুন্দা নদীর উপকন্ঠে ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে পার্শ্বে এক মনোরম পরিবেশে ১৯৬১ খ্রি: প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিকল্পে সময়ের চাহিদা পূরণ কল্পে দাখিল আলিম স্তর থেকে ও সর্বশেষ ফাজিল স্তরে উন্নতি হয়েছে। ফলে এতদ অঞ্চলের অন্যতম আর্দশ বিদ্যাপীঠ হিসাবে সুনাম বহন করে চলেছে।
প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ ফলাফল সহ মেধা তালিকায় কৃতিত্বের সাক্ষর রাখছে। এ বিদ্যাপীঠ থেকে শিক্ষার্থীরা বিগত বছর গুলোতে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে। অবকাঠামো গত উন্নয়ন নান্দনিক গেইট ও মহাসড়কে পাশে অবস্থিত হওয়ায় সুদুর ঈশ্বরগঞ্জ কিশোরগঞ্জ ও তাড়াইল থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী অত্র বিদ্যাপীঠে এসে মনোরম পরিবেশে পড়াশোনা করছে। অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলির পাঠদান, পরিচালনা কমিটির নিয়মিত তদারকি ও অধ্যক্ষের দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় আজকে এদত অঞ্চলের অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করতে অধ্যক্ষের দিক নির্দেশনায় প্রথম শ্রেণি থেকে ফাজিল পর্যন্ত নিয়মিত জোহরের নামাযে উপস্থিতি শ্রেণি কক্ষে উপস্থিতি, পাঠে মনোযোগ সহ নানা বিষয়ে পারঙ্গম শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিটি জাতীয় দিবসে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তাছাড়া আরবি ও ইংরেজি বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধি কল্পে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বর্তমানে সাতশ অধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা মো শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম পাশ করে পরবর্তীতে আমি প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষা পাস করে এন টি আর সি এর মাধ্যমে এবতেদায়ী শিক্ষক হিসেবে প্রাণের বিদ্যাপীঠে নিয়োগ পাই। বর্তমানে আমি সহকারী মৌলভী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমি এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হিসাবে গর্ববোধ করি। অধ্যক্ষ মহোদয়ের যুগোপযোগী পদক্ষেপ শিক্ষকদের আন্তরিকতায় শিক্ষার মান আশানুরূপ। এ প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই অন্যতম নান্দনিক নান্দাইলে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসাবে রূপ নিবে আমরা আশাবাদী।
এ প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ইংরেজি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, দক্ষ ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। অধ্যক্ষ মহোদয় যোগদানের পর থেকে অবকাঠামো গত উন্নয়ন সহ শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে অত্যন্ত সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।
বর্তমানে এতদ অঞ্চলের সেরা প্রতিষ্ঠানের রূপ নিচ্ছে। আশা করি অদুর ভবিষ্যতে ইসলামি শিক্ষার অন্যতম গবেষণার বিদ্যাপীঠ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবে। সেই লক্ষ্য প্রতিষ্ঠান প্রধান সকল স্টাফকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা মো আব্দুর রহিম জানান, ২০১৩ খ্রি: নিয়োগ পাওয়ার পর সন্মানিত দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী, পরিচালনা কমিটির সদস্যদের আন্তরিকতায় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আজকে আর্দশ বিদ্যাপীঠে রূপ নিচ্ছে । ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে আমি আশাবাদী।
উনত্রিশ জন চৌকস স্টাফ নিয়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন কল্পে এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো এলাকা ছড়াচ্ছে। পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ ফলাফল অর্জন সহ মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল ( ডিগ্রী) মাদরাসা।
যেখান থেকে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে দাখিল আলিম ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে এ বিদ্যাপীঠ সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।যারা ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে বিদেশে বিভিন্ন দফতর অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবে।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ভুইয়া বলেন , তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসাটি মনোরম স্থানে গড়ে ওঠায় দক্ষ ও নান্দনিক ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে চলছে। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান প্রধান অত্যন্ত আন্তরিক।