মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে যুব সমাজের উদ্যোগে সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত আমতলীতে জেলে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রকৌশলী আল মামুনের দাফন সম্পন্ন বরুন বাড়ীয়া ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন মোরেলগঞ্জে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান: মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ, দুই ফার্মেসিকে জরিমানা মোরেলগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ভূঁইয়ার দাফন সম্পন্ন মোরেলগঞ্জে জাকের পার্টির জনসভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ‘জুলাই সনদে’ দ্বিমত আছে—রংপুরে সারজিস আলম তাড়াইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষ: নারী আহত, থানায় অভিযোগ শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ নেই: ইসি আনোয়ারুল

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে সাবাড়

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৮১৩ বার পঠিত
আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে সাবাড় ------- সংগৃহীত ছবি

বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশের শতাধিক মেহগনি, রেইন্টি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাব খাটিয়ে তিনি ওই গাছ স্থানীয় জলিল বেপারীর কাছে এক লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। ইতোমধ্যে গত দুইদিন ধরে শ্রমিক দিয়ে গাছ কেটে স্তুপ করে সোমবার রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলীর চুনাখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে এবং বাঁধ রক্ষায় দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জলিল বেপারী বলেন, “রুবেল আহমেদ আমার কাছে এক লাখ টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি নিয়েছেন, বাকি টাকা গাছ বিক্রির পর দেয়া হবে।” অভিযুক্ত রুবেল আহমেদ স্বীকার করে বলেন, “সরকারি জমির গাছ কেটে বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে। আমি প্রায় ১৬ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি। আর গাছ কাটা হবে না।”

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হান্নান প্রধান বলেন, “লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম জানিয়েছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, কঠোর পদক্ষেপ না নিলে চুনাখালী বাঁধের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় থাকা গাছ একে একে কেটে ফেলা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..