মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা আমিরাত প্রবাসী সাংবাদিক ফরহাদ হোসেনের পিতৃবিয়োগে শোক নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হাতিয়ায় সিঁধ কেটে চুরি, দেখে ফেলায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম অনলাইন জুয়ার অ্যাপে ধরা পড়লেই জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা তৌহিদ আফ্রিদি ৫ দিনের রিমান্ডে মুরাদনগরের গর্ব আবিদুল ইসলাম খান: ডাকসু ভিপি পদে আলোচনার শীর্ষে পদ্মা ব্যাংক পুটয়াখালী শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চাকরীচ্যুত: অবৈধ টাকায় সোহাগের কেমিক্যাল ব্যবসা (পর্ব-১) সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন চায় ডিআরইউ ঢাকা ওয়াসা জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভা

ভোলায় সরিষার হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৭৩ বার পঠিত

ভোলার গ্রামগঞ্জের ফসলের মাঠে-মাঠে এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। চারদিকে হলুদ গাঁলিচা বিছিয়ে যেন অপরূপ সাজে সেঁজেছে পল্লী প্রকৃতি। এ ফুলের মৌ-মৌ গন্ধ আর মৌমাছিদের গুঞ্জরণে মুখরিত হচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর। এ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে বাড়ছে প্রকৃতি প্রেমিদের আনাগোনা। এ ফসলের বাম্পার ফলনের হাতছানিতে হাসি ফুঁটেছে চাষিদের মুখে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, অন্তর্বর্তী সময়ে চাষ করে উপযুক্ত মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা অধিক হারে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষের দিকে চাষ হয় সরিষা ফসল। পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এর কর্তন হয়। বিশেষ করে জেলার নিচু অঞ্চলে বোরো ফসল কাটা শেষে নিম্নাঞ্চলের জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়।কার্তিক মাসের দিকে পানি সরে গিয়ে আরেকটি বোরো ফসলের মৌসুম শুরুর মাঝ সময়ে চাষ হয় তেল জাতীয় রবি ফসল সরিষা। এ জন্য চাষিরা এ ফসলটিকে ফাও ফসল হিসেবে বিবেচনা করেন। বাজারে বিক্রির আগেও এ ফসলের ফুল দিয়ে মুখরোচক বরা ও পাতা দিয়ে মজাদার শাক রান্না করা এবং কর্তন শেষে সরিষা গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে এসব বিক্রি করেও মেলে বাড়তি অর্থ। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয় সরিষা। কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য খাদ্য শস্যের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় ব্যাপক হারে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দেশের অন্যতম সরিষা ফসল উৎপাদনকারী ভোলা জেলার ফসলের মাঠে মাঠে এখন হলুদ সরিষা ফুলের হাসি। যেদিকেই তাকানো যায় মনে হয় হলুদ রঙের গালিচায় গালিচায় ছেয়ে আছে এখানকার পল্লী প্রকৃতি। এ নয়নাভিরাম হেমন্তশোভা ভিন্ন রকম দোলা দিয়ে যায় গ্রাম বাঙলার মানুষের মনে।
তাই কাব্য ও সাহিত্যে হেমন্ত প্রকৃতি বন্দনায় উপমা হয়ে উঠে আসে সরিষা ফুলের নাম। প্রকৃতির এ মনোলোভা সৌন্দর্য উপভোগে সরিষা ফসলের মাঠে ভিড় জমে প্রকৃতি প্রেমীদের। ভোলা সদর উপজেলার কানাইনাগর গ্রামের বিস্তীর্ণ সরিষা ফসলের মাঠ সরেজমিন পরিদর্শনকালে কথা হয় গ্রামের আনিচ, ফারুক ও শফি সিকদার নামে তিন সরিষা চাষির সঙ্গে।
তারা জানান, এ সময়টিতে অন্য কোনো ফসল চাষ করা হয় না বলে এ ফসলটিকে ফাও ফসল হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন তারা। আর এ ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের বাড়তি খরচ যোগানের পাঁশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষেও ব্যয় করে থাকেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..