রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কমিশনের মধ্যে যে যে দলের আছেন, সে সেই দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন : হাসনাত আবদুল্লাহ তাড়াইলে কাপড়ের দোকানে চুরি, প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ব্যাপক গণসংযোগ মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি গঠন নলছিটিতে শতাধিক সনাতন ধর্মালম্বীর বিএনপিতে যোগদান আমতলীতে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার মিলে মিশে নিয়োগ পরীক্ষা! অধ্যক্ষের ছেলে ও দাতা সদস্যের ছেলের স্ত্রী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের বাবার পরলোকগমন রাইজ এবাভ অল ২০২৫: স্বপ্ন, সাহস আর নেতৃত্বের উৎসবে অনুপ্রাণিত হলো হাজারো মানুষ তাড়াইলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ পালিত

ভোলায় সরিষার হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৮৪ বার পঠিত

ভোলার গ্রামগঞ্জের ফসলের মাঠে-মাঠে এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। চারদিকে হলুদ গাঁলিচা বিছিয়ে যেন অপরূপ সাজে সেঁজেছে পল্লী প্রকৃতি। এ ফুলের মৌ-মৌ গন্ধ আর মৌমাছিদের গুঞ্জরণে মুখরিত হচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর। এ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে বাড়ছে প্রকৃতি প্রেমিদের আনাগোনা। এ ফসলের বাম্পার ফলনের হাতছানিতে হাসি ফুঁটেছে চাষিদের মুখে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, অন্তর্বর্তী সময়ে চাষ করে উপযুক্ত মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা অধিক হারে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষের দিকে চাষ হয় সরিষা ফসল। পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এর কর্তন হয়। বিশেষ করে জেলার নিচু অঞ্চলে বোরো ফসল কাটা শেষে নিম্নাঞ্চলের জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়।কার্তিক মাসের দিকে পানি সরে গিয়ে আরেকটি বোরো ফসলের মৌসুম শুরুর মাঝ সময়ে চাষ হয় তেল জাতীয় রবি ফসল সরিষা। এ জন্য চাষিরা এ ফসলটিকে ফাও ফসল হিসেবে বিবেচনা করেন। বাজারে বিক্রির আগেও এ ফসলের ফুল দিয়ে মুখরোচক বরা ও পাতা দিয়ে মজাদার শাক রান্না করা এবং কর্তন শেষে সরিষা গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে এসব বিক্রি করেও মেলে বাড়তি অর্থ। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয় সরিষা। কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য খাদ্য শস্যের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় ব্যাপক হারে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দেশের অন্যতম সরিষা ফসল উৎপাদনকারী ভোলা জেলার ফসলের মাঠে মাঠে এখন হলুদ সরিষা ফুলের হাসি। যেদিকেই তাকানো যায় মনে হয় হলুদ রঙের গালিচায় গালিচায় ছেয়ে আছে এখানকার পল্লী প্রকৃতি। এ নয়নাভিরাম হেমন্তশোভা ভিন্ন রকম দোলা দিয়ে যায় গ্রাম বাঙলার মানুষের মনে।
তাই কাব্য ও সাহিত্যে হেমন্ত প্রকৃতি বন্দনায় উপমা হয়ে উঠে আসে সরিষা ফুলের নাম। প্রকৃতির এ মনোলোভা সৌন্দর্য উপভোগে সরিষা ফসলের মাঠে ভিড় জমে প্রকৃতি প্রেমীদের। ভোলা সদর উপজেলার কানাইনাগর গ্রামের বিস্তীর্ণ সরিষা ফসলের মাঠ সরেজমিন পরিদর্শনকালে কথা হয় গ্রামের আনিচ, ফারুক ও শফি সিকদার নামে তিন সরিষা চাষির সঙ্গে।
তারা জানান, এ সময়টিতে অন্য কোনো ফসল চাষ করা হয় না বলে এ ফসলটিকে ফাও ফসল হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন তারা। আর এ ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের বাড়তি খরচ যোগানের পাঁশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষেও ব্যয় করে থাকেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..