ধারের টাকা না দিলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন চম্পা বেগম নামের এক নারী। একই সঙ্গে তিনি পাওনাদার মিরাজ হাওলাদারের বাড়ীতে অনশনে বসেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌরসভার বাসুগী গ্রামে সোমবার সকালে।
জানাগেছে, পৌর শহরের বাসুগী গ্রামের মফেজ হাওলাদারের ছেলে মিরাজ হাওলাদার আমতলী সরকারী কলেজের সামলে আলিফা কসমেটিক্সের ব্যবসা করেন। তার পাশে তিশা-নিশা ফ্যাসন নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে চম্পার। এক বছর আগে ব্যবসায়ী চম্পা বেগম মানবসেবা নামের একটি বে-সরকারী সংস্থা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ তুলে মিজারকে দেয়। গত জানুয়ারী মাসে মিরাজ ব্যবসা গুড়িয়ে পালিয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন ঋণ গৃহিতা চম্পা বেগম। তার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই ঋণ চম্পা পরিশোধ করে আসছে। সোমবার সকালে চম্পা টাকার দাবীতে মিরাজের বাড়ীতে অনশনে বসেছে। চম্পার দাবী টাকা না দিলে সে আত্মহত্যা করবে এবং তার (মিরাজ) বাড়ী থেকে যাবেন না। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চম্পা বেগম বলেন, মিরাজ আর আমার আমতলী সরকারী কলেজের সামনে পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি মিজারকে একটি এনজিও থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ তুলে দিয়েছি। ওই টাকা নিয়েই মিরাজ পালিয়ে গেছে। গত চার মাস ধরে আমি ঋণের টাকা পরিশোধ করে আসছি। এখন আর পারছি না। আমার টাকা না দিলে আমি আত্মহত্যা করবো। টাকা না দেয়া পর্যন্ত আমি এ বাড়ী ছেড়ে যাব না।
এ বিষয়ে মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার বড় ভাই সোবাহান হাওলাদার বলেন, বিষটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বে-সরকারী সংস্থা মানবসেবার মালিক ইলিয়াস ম্যালাকার বলেন, আমার সংস্থা থেকে চম্পা বেগম এক লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মিরাজকে দিয়েছেন। মিরাজ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন চম্পা বেগম ঋণ পরিশোধ করছেন।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অনসনে বসা ওই নারীকে উদ্ধার করেছি।