বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল অনিয়ম, ঘুষ,দুর্নীতির আখড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম হঠাৎ অস্থির ডালের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা প্রচলিত প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত’

অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম

আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭৫১ বার পঠিত
অযত্ন-অবহেলার অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম----------------------- সংগৃহীত ছবি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের শিল্পির আঁকা ছবির মত ছোট্ট একটি গ্রাম হাড়িখালী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই গ্রামটিকে মডেল গ্রামে রূপান্তরের অপার সম্ভাবনা থাকলেও, উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হয়ে আছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের দক্ষিণ পাশের রাস্তাগুলো এমন অবস্থার সৃষ্টি করে যে, সাধারণ মানুষ গামছা বা লুঙ্গি ছাড়া বাহিরে বের হওয়াই দায়!

রাস্তাঘাট ও কালভার্ট নির্মাণে বিভিন্ন সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নে দেখা যায়নি কার্যকর কোনো উদ্যোগ। প্রতিটি নির্বাচনের সময় ‘উন্নয়ন’ শব্দটি উচ্চারিত হলেও, কার্যত তা হয়ে উঠেছে শুধু ব্যক্তিস্বার্থ পূরণের হাতিয়ার।

এই গ্রামে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল এবং “হাড়িখালী দারুল উলুম ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসা”। কিন্তু দুর্ভোগ পোহাতে হয় ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের, যাদেরকে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে, প্রাণ ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। গ্রামে যদি ৫টি কালভার্ট ও ৪টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এই শিশুরা নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে পারবে এবং উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের জীবনমান উন্নত করতে সক্ষম হবে।

চলাচলের উপযুক্ত অবকাঠামোর অভাবে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হয়েছে। একপ্রকার ‘পুরুষশূন্য’ হয়ে পড়েছে হাড়িখালী। তবুও উন্নয়নের বিষয়ে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে,বিগত দিনে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে মুখ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

হাড়িখালীর মতো সম্ভাবনাময় একটি গ্রাম উন্নয়নের স্বপ্নে বাঁচে, কিন্তু অভিভাবকহীন বাস্তবতায় প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে সেই স্বপ্ন। অবহেলিত হাড়িখালীর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দারা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।