বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী নুরুল হুদা ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বীরদর্পে দীর্ঘ ১৯ বছর পেরিয়ে এখনও বহাল তবিয়তে । তবে তদন্তে উঠে এসেছে তার নিয়োগে গুরুতর জালিয়াতির ঘটনা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে, তিনি ওই সনদের ভিত্তিতেই চাকরির সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।
গত ২৭শে অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) নুসরাত জাহানের স্বাক্ষরিত নেটিশ যার স্মারক নং-৪৮.০০.০০০০.০০১.৯৯.০১৩.২০২২.৩২৫, তারিখ ২৯ আগস্ট ২০২৪ইং এর মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে ১ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের তথ্য সঠিক বলে উল্লেখ করা হলেও বাকি ৯টি মন্ত্রণালয়ের মোট ১৩৮ জনের চাহিত পুর্ণাঙ্গ না থাকা অথবা গড়মিল থাকার কারনে পরিবীক্ষণ করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে বিসিএসআইআর সাইন্টিফিক অফিসার নুরুল হুদা ভূঁইয়ার নাম ৩য় নাম্বারে রয়েছে। একাধিক সূত্রের দাবী বর্তমানে নুরুল হুদা ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যাতে মন্ত্রণালয় থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করা ও বিষয়টিকে কিভাবে ধামা-চাপা দেয়া যায় সে বিষয়ে জোর তদবির চালাচ্ছেন।

গত ২৭শে অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) নুসরাত জাহানের স্বাক্ষরিত নেটিশ।
এ ছাড়াও গত ০৭.১১.২০২৫ ইং তারিখে নুরুল হুদা ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নানা প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি , অবৈধ কাজ ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ তদন্তের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন থেকে বিসিএসআইআরের কাছে তথ্য চাওয়া হয় যার স্মারক নং-০০.০১.২৬০০.৬০৩.০১.৬৪৪.২৫ ১৯৪৮।


নুরুল হুদা ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নানা প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি , অবৈধ কাজ ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ তদন্তের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন থেকে বিসিএসআইআরের কাছে তথ্য চাওয়ার পত্র।
সূত্রে জানা যায়, নুরুল হুদা ভূঁইয়ার প্রভাব এতটাই বিস্তর যে বিসিএসআইআরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের অনেক কর্মচারীও তার প্রতি ভীতি অনুভব করেন। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তিনি অস্বাভাবিক হস্তক্ষেপ করেন। নুরুল হুদা ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটাতে বিসিএসআইআর– এ যোগদান করেন । জুনিয়র হয়েও বিসিএসআইআর আরসি পদে দায়িত্ব পালন করছেন, কেনাকাটাসহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত থেকে বিসিএসআইআর এ বৈষম্য তৈরি করছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালনের লিড দাতা ড. মোঃ নুরুল হুদা ভূঁইয়া।
বিসিএসআইআরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অভিযোগটি যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ–বিধি ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থার অপব্যবহার সংক্রান্ত গুরুতর অনিয়ম হিসেবে গণ্য হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকারি পরিসরে সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন, যাতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার মর্যাদা রক্ষা পায় এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিত হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিএসআইআর গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মোঃ নুরুল হুদা ভূঁইয়া বলেন সব ভূয়া ভূয়া। এ ছাড়াও তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা বলে নিজেকে পরিচয় দেন। তিনি আরো বলেন আমার একটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ আছে তারা এসব করছে। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে উল্লেখ করলে তিনি ফোন কেটে দেন।