বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সরকারি বাঙলা কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কৃষকদের দেয়া সরকারি প্রনোদনা কালোবাজারিতে বিক্রির অভিযোগ মুরাদনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত মুরাদনগরে শ্রমিক গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ মির্জাগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত তরুণ নির্মাতা মনজিল হাসানের নাটকে মোশাররফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি তাড়াইলে ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান ভূঁইয়া অনু ফ্যমিলি ফাউন্ডেশনের বৃত্তি প্রদান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপহার বিতরন নান্দাইলে বধ্যভূমিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান সরকারি বাঙলা কলেজে ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস-২০২৫ পালন

এ যেন কাশফুলের মিছিল…!

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬১৮৭ বার পঠিত

বাংলার প্রতিটি ঋতুরই রয়েছে আলাদা রূপ বৈচিত্র্য। এমনি একটি ঋতু শরৎ। শরতের রূপ অন্য ঋতুর চেয়ে ভিন্ন। এ ঋতু আসে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে।

প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজায় কাশফুল। সেটি দেখতেই ভীড় করেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। ভোলা সদরের চরসামাইয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এমনই চিত্র দেখা গেছে। এ যেন কাশফুলের মনোমুগ্ধকর মেলা বসছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে কাশফুল, সেই কাশফুলের নরম ছোয়া নিচ্ছেন কেউ কেউ। দৃষ্টিনন্দন কাশবন দেখে মন ছুয়ে যায় অনেকের। তাই সকাল এবং পড়ন্ত বিকেলে ঢল নামে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

স্থানীয়রা জানালেন, প্রকৃতিতে যখন শরৎ আসে, তখন বিভিন্ন স্পটে প্রাকৃতিক ভাবেই সৌন্দর্যের শোভা ছড়ায় কাশফুল। যা নজর কাড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খেয়াঘাট সড়কের পাশে খোলা মাঠে অসংখ্য কাশফুলের গাছ। শুভ্র সাদা রঙে ঢেকে আছে মাঠ, ছড়াচ্ছে সাদা শোভা। দেখে মনে হচ্ছে যেন সবুজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটু সাদা মেঘ।

চারদিকে কাশবন আর কাশবন। দূর থেকে মনে হবে এ যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। নীল আকাশের নিচে দোল খায় সাদা কাশফুল। কাশফুলের সঙ্গে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তেঁততুলিয়া তীর ঘেঁষা মনোমুগ্ধকর এ স্পটির অবস্থান। যেখানে প্রতিদিন বিকেলে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী পপি বলেন, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এক অনন্য কাশফুল। শরতের এ ফুল দেখতে কার না ভালো লাগে, আমরা ভালোলাগা থেকে এখানে ছুটে এসেছি। এখানে এসে ছবি তুলেছি, অফিসের কলিগদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি। খুব ভালো কেটেছে সময়টা। আরেক দর্শনার্থী সোনিয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই কাশফুলের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল, এখনও ভালো লাগে কাশফুল। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থেকে খুব ভালো কেটেছে সময়টা।

একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মুন্নি রহমান, সোনিয়া আক্তার ও রাসেল উদ্দিনসহ অন্যরা। তারাও এসছেন কাশফুল দেখতে।

তারা জানালেন, অফিসের কাজের ফাঁকে একটু প্রশান্তি পেতে সহকর্মীদের সঙ্গে কাশফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে ছুটে এসছি। এখানে এসে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। একই কথা জানান আজিম উদ্দিন নামের আরেক দর্শনার্থী। শরতের বর্নিল আলোয় ঢেউ খেলে। যা যে কারো মন ছুয়ে যাবে। ছুটির দিনে এখানে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ বা ব্যস্ত প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েজ কাশফুলের এ মেলা প্রকৃতিপ্রিয় মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..