সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হবে জাপান, বাড়বে সে দেশের বিনিয়োগও : প্রেস সচিব এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট সোমবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থ উপদেষ্টা চীন বাংলাদেশকে কৃষি ও গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে: সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী কাস্টমস হাউস ঢাকার কমিশনার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক ডিএসইসি’র উদ্যোগে প্রেস কাউন্সিলে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অন্যায় অনিয়মের মহা নায়ক আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু মৃধা সেরা নির্বাচিত বেতাগীর গড়িয়াবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক জিওপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন : বকেয়া দেড় কোটি টাকা

এনামুল হক রাঙ্গা (বগুড়া প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৯২১ বার পঠিত

বগুড়া জেলার শেরপুর পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির। কিন্তু শ্রেণিতে প্রথম হলেও সেবার মানে যেন ৩য় শ্রেণিতে রয়েছে এই পৌরসভার বাসিন্দারা। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) পক্ষ থেকে শেরপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে এই সত্য চিত্রটি আবার উপজেলাবাসীর উপলব্ধি করতে পারছে। কারণ পৌরসভায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে।

গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় নেসকোর রাজশাহী বিভাগের রেভিনিউ অ্যাসুরেন্স বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন তালুকদার এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এ সময় বিচ্ছিন্ন করা হয় পৌর ভবন, সড়কবাতি ও পানি সরবরাহের পাম্পের সংযোগ। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরভাবাসীসহ কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

নেসকো সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভায় প্রতি মাসে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। গত এক বছরে পৌরসভা কোনো বিল দেয়নি। ফলে এ পর্যন্ত পৌরসভার কাছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ টাকা বকেয়া রয়েছে। বারবার নোটিশ দিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছে।

আকস্মিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় অফিসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী। এ ছাড়াও রাতে শহর জুড়ে নেমে আসবে অন্ধকার। চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পৌরবাসীরা।

পৌরসভাবাসীরা জানান, এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ১ লাখ লোকের বসবাস। এখানে শহর আলোকিত করার জন্য দেড় হাজার সড়ক বাতি ও পানি সরবরাহের জন্য পাম্প রয়েছে।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করছে। আমরা নিয়মিত পরিশোধ করলেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে শহরে চলাচল ও অনিরাপদ হয়ে উঠবে। এর দায় পৌর কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও শেরপুর থানা-পুলিশের সদস্যরা।

নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিভিন্ন সভায় তাদের মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এবং নোটিশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বকেয়া পরিশোধের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ’

এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, ‘ইতিমধ্যে নেসকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতায় এসেছি। হঠাৎ করেই তারা বিছিন্ন করেছে তবে অতি দ্রুত পুনঃ সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একেবারে এত টাকা পরিশোধ করতে না পারলেও দফায় দফায় পরিশোধ করবো মর্মে তারা সংযোগ দিতে চেয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..