শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে নাইট শর্টপিচ টুনামেন্টর উদ্বোধন স্বাভাবিক নিয়মের গণতান্ত্রিক প্রবাহমানতা বজায় রাখার আহ্বান রিজভীর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বর্বরতা ’৭১ এর নৃশংসতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে: তারেক রহমান ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত পলাতক আসাদুজ্জামান খানের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ’ : প্রেস উইং ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর দাভোসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারী রে ডালিও’র সাক্ষাৎ ডব্লিউটিও মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বারোপ অধ্যাপক ইউনূসের

এনবিআরের দাবি করা ১২ কোটি টাকা কর দিতে হবে ড. ইউনূসকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩
  • ৫৮৩৩ বার পঠিত

প্রায় ১২ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আনা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
আজ রায়ের পর এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস তিন প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন। তিনি বলেছেন এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে। এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল। পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এখন এনবিআরের দাবিকৃত কর দিতে হবে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার অধিক দাবি করেছিল। এরই মধ্যে তিনি তিন কোটি টাকার মতো দিয়েছেন। এখন বাকি ১২ কোটি টাকার অধিক  কর পরিশোধ করতে হবে। কর দাবি করে এনবিআরের ওই নোটিশগুলোর বৈধতা নিয়ে গত ২৩ মে শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ৩১ মে দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।
এটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) বলেছেন, টাকা দান করেছেন। তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আর আমরা বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে ড. ইউনূসেরটা পড়ে না। এজন্য তাকে দানকর দিতে হবে।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এইসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।
এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

(বাসস)

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..