বরগুনার বেতাগীর সদর ইউনিয়নে নিজ শশুরসহ পঞ্চাশোর্ধসহ তিন ব্যক্তির রিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন মোসা : রুজিনা আকতার ( ২৩) নামের এক পুত্রবধূ।
আপন শশুর এবং অপর দুই চাচা শশুরের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে যেমন খুব চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
বাস্তব চিত্রে, জানা যায় সদর ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের পূর্ব রানীপুর গ্রামের মোহাম্মদ মান্নান মৃধা (৬০) তার ছোট ভাই মো : মালেক মৃধা (৫২) পিতা মৃত : আলী আহমেদ মৃধা এবং তাদের চাচতো ভাই মো : আমজেদ মৃধার ( ৫৫) বিরুদ্ধে স্থানীয় স্থানীয় গণমাধ্যমে যৌন হয়রানিসহ মানুষিক অত্যাচারের অভিযোগ করেন মোহাম্মদ মান্নান মৃধার ছেলে রাসেল মৃধার স্ত্রী রোজিনা আকতার ( ২৩)।
তবে প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎকারে রোজিনা আকতারের যৌন হয়রানির বিষয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমেই তিনি অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি তাকে ব্যবহার করতে চায় বলে বলেন। তিনি আরো জানান তার শশুর ৫/ ৬ বছর আগে তার পিঠে হাত দেয়াসহ বিভিন্ন সময়ে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত প্রদান করেন ও মোবাইল থেকে তাকে অশ্লীল ছবি পাঠান এবং অভিযুক্ত তার সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে থানায় অভিযোগ পএে উল্লেখ করেন। অভিযুক্তদের সাথে তার এবং তার স্বামীর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ আছে বলেও জানান।
এদিকে একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে যৌন হয়রানির বিষয় তারা কিছু জানেন না বলে প্রতিবেদকে বলেন। এলাকাবাসীসহ এই ঘটনার সাথে জরিত সবার সাথে কথা বলে জমিজমা নিয়ে ছেলে ও ছেলের বউ এবং শশুরদের সাথে বিরোধের কথাটি উঠে এসেছে।
অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিই যৌন নিপীড়নের কথা অস্বীকার করেছেন এবং এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। রাসেল ও তার স্ত্রীর বসবাসকারী ঘরের সামনে জমি নিয়ে বিরোধ আছে বলে স্বীকার করেন।
অভিযোগকারীর স্বামী রাসেল মৃধার সাথে কথা বলে জমিজমার বিরোধের কথা বলেন। তার বাবা কতৃক যৌন হয়রানির বিষয় তিনি বিভ্রান্তিকর ও দুই ধরনের তথ্য দিয়েছেন। তার স্ত্রীর সাথে যৌন নিপীরনের বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একবার বলেন সত্যি আবার পরক্ষণেই বলেন আমার চোখে সরাসরি কিছু পরে নি তিনি তার স্ত্রী ও প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনছেন। এ জন্য আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল বলে বলেন রাসেল।
এদিকে রোজিনা আকতার থানায় তার লিখিত অভিযোগ পত্রে ১। মো : মালেক মৃধা ২। মো : রিয়াজ মৃধা ( ৩০) পি : মো : মালেক মৃধা ৩। মো : মান্নান মৃধা ও তার স্ত্রী ৪। মোসা : মিনারা বেগম কে অভিযুক্ত করেন।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই জিহাদ বলেন লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তবে তাতে কোন যৌন হয়রানীর বিষয় উল্লেখ নেই এবং এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য যেতে চাইলে অভিযুক্তের স্বামী বলেন যে বিষয়টি আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মিমাংসা করবো আপনার আসার দরকার নেই।
বেতাগী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন আমি ছুটিতে ছিলাম তাই এখনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।