সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক দলে সাংবাদিকদের ভূমিকা: দলীয় পদ নাকি পেশাদারিত্ব: আহমেদ আবু জাফর সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফে ১ম হলেন হরিরামপুরের জয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঝালকাঠির নিহত ১০ পরিবারকে জেলা পরিষদের ২০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৭৯০ বার পঠিত

কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি আজ সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)র প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।
ইচিগুছি তোমোহিদে বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় সম্ভাবনাময় দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভালো চাকরির সুযোগ না থাকায় আমরা বাংলাদেশে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এক হাজার তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কারণ এ কর্মসংস্থানের কারণেই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কর্মসংস্থান তৈরিতে জাইকার যে কোন বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তা বিবেচনা করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাপান এবং জাইকার কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
ইচিগুছি তোমোহিদে বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জনপ্রশাসন সংস্কার এই দু’টি এজেন্ডা নিয়ে আমরা কাজ করতে আগ্রহী। অবকাঠামো উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা এই বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চান এবং বাংলাদেশ জাইকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ বলেও মন্তব্য করেন ইচিগুছি তোমোহিদে।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে  প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা মেধাবী। জাইকার সঙ্গে কাজ করলে তা তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তাই বাংলাদেশ জাইকার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও সরকার কাজ করছে।
এ সময় তারা বিভিন্ন পাস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি, প্রতিনিধি কুককামী মিনামি এবং  জাইকা বিশেষজ্ঞ সোজি আকিহিরো উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..