শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার হিংসা অবিচারের : আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা জন্মদিনে মৃত্যু, বিবাহবার্ষিকীতে দাফন; এএক হৃদয়বিদারক বিদায়ের গল্প ছোটদের বড় ভাবনা: রাজধানীর পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্রেক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা

প্রিয়জনকে নিয়ে হারিয়ে যেতে পারেন হলুদের রাজ্যে

দিপংকর মন্ডল , হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৮৭ বার পঠিত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মাঠে মাঠে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। সরিষা ক্ষেতের জন্য এ উপজেলা খুবই পরিচিত একটি নাম। হলুদ ফুলে ফুলে ভরে আছে ফসলের মাঠ। শীতের কুয়াশায় ধূসর প্রান্তর, চারদিকে হলুদের সমাহার। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে যেনো পুরো এলাকা। প্রজাপতি, মৌমাছি, হলুদিয়া-নীলরঙা পাখি, পোকামাকড় থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখা যায় এই হলুদ রাজ্যে।

মাঠের পর মাঠ প্রান্তর যেনো হলুদে একাকার। মাঝে সরলরেখার মতো সরু গ্রামীণ মেঠোপথ। পথের দুপাশে দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত দেখা যায় হলুদ সরিষা ফুলের সারি। কুয়াশা ভেদ করে বয়ে চলা মৃদ হাওয়ায় দোল খাওয়া সরিষা মাঠকে মনে হচ্ছে ঢেউ খেলা কোনো হলুদ সমুদ্র।

সরিষা ফুলে ঘুরে বেড়ানো মধু পিয়াসী মৌমাছির গুণগুণ-গুঞ্জরণে সৃষ্ট আবহ মাতিয়ে তোলে হাজারও প্রকৃতিপ্রেমীদের। এমন আবেশে কে না হারিয়ে যেতে চায়! প্রিয় মানুষটিকে প্রকৃতির এমন আবহে প্রতিস্থাপন করে স্বপ্ন বুনতে চায় হাজারো প্রেমিক মন।

এমন মোহেই হয়তো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন লিখেছিলেন,
আরো একটুকো এগিয়ে গেলেই সরষে ক্ষেতের পরে,
তোমারে আমার যত ভাল লাগে,
সে অনুরাগে হলুদ বসন
বিছাইয়া আছে দিক দিগন্ত ভরে।
দুধারে অথৈ সরিষার বন
মাঝখান দিয়ে সরু বাঁকা পথখানি।
দোষ নিওনাক ফুলেরা তোমার
ধরিলে আঁচল টানি।

ছুটি কিংবা অবসর সময়ে শত শত প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ছুটেছে এ অঞ্চলে। আর এমন সুন্দর দৃশ্য ধারণ করতে চলছে সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা। রাজধানীর কাছেই মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা। চাইলে সপরিবারে কিংবা আপনার প্রিয় মানুষটিকেও এই ভ্রমণে সঙ্গী করতে পারেন। চোখে সরষে ফুলের অপার সৌন্দর্য দেখার সঙ্গে বোনাস হিসেবে পাবেন শীতের সকালে খেজুরের রস, স্থানীয় মজাদার খাবারের স্বাদ, পদ্মা নদী দেখা ও নদীতে সাঁতার আর বিরামহীন ছবি তোলার সুযোগ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সরজমিনে গিয়ে কথা হয় উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের সরিষা চাষি ছবেদ আলীর সাথে তিনি বলেন, সরিষার আবাদ এই উপজেলার একটি ঐতিহ্য। প্রায় সব কৃষকই সরিষার আবাদ করেন। সবাই একযোগে সরিষা বোনার কারণে একসঙ্গে চারা বড় হওয়ার পাশাপাশি ফুলও আসে। ফলে সরিষা মাঠ হলুদে ছেয়ে যায়।

সরিষা ক্ষেতে লোকজনের ছবি তোলা প্রসঙ্গে কৃষকেরা বলেন, অনেকেই ক্ষেতের মাঝখানে ঢুকে যায়। এতে কিছু সরিষা নষ্টও হয়। তারপরও আমরা কাউকে বাধা দেই না। কারণ এটা এলাকার ঐতিহ্য। লোকজন দেখতে আসলেই আমাদের ভাল লাগে।

সরিষা ফুল দেখতে এবং ছবি তুলতে আসা জান্নাত ইসলাম বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুড়তে আর ছবি তুলতে এসেছি। সরিষার সিজনে প্রোফাইলে সরিষা ফুলের সাথে ছবি আপলোড না দিলে কেমন যেন অপুর্ণতা থেকে যায়। অনেক মজা করছি, ছবি তুলছি, আমাদের সবারই খুব ভালো লাগছে।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর যেতে হলে আপনাকে প্রথমে ঢাকার গুলিস্তান থেকে মানিকগঞ্জের বাসে উঠতে হবে। সেখান থেকে আবার লোকাল বাসে চড়ে হরিরামপুর বা ঝিটকা যেতে পারবেন। সারাদিনই এ বাস পাওয়া যায়। এ জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া ভালো। যাদের সে ব্যবস্থা নেই তারা ভাড়ায় মাইক্রোবাস কিংবা অন্য কোনো গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..