কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় রাতের আঁধারে এক মাছ ব্যবসায়ীকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেলে হত্যার হুমকি দিয়ে সাথে থাকা এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনতাইয়েরও অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে উপজেলার আন্দিকুট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সজীব হোসেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বাঙ্গরা বাজার থানাকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার আন্দিকুট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামের মোঃ জাকির হোসেন(৩৪), মোঃ কবির হোসেন(৪২), উভয় পিতাঃ মৃত সুবেদার আব্দুল কাদের, একই গ্রামের মোঃ নাছির মিয়া(৩৭), পিতাঃ মৃত নাজির হোসেন, মোঃ মাসুক মিয়া (৩৪), পিতাঃ মৃত বাদশা মিয়া।
ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী সজিব বলেন, মৎস্য আড়ৎ থেকে সোমবার রাতে মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে হায়দ্রাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকার জাকির, কবির, নাছির, মাসুকসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে মারধর করে দেশীয় অস্ত্র গলায় ঠেকিয়ে আমার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি শশুর বাড়ি আসা-যাওয়া করলে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে শশুর বাড়ি আসতে হবে। এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোন কিছু বললে আমাকে গলা কেটে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আদালতে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের সাথে আমাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মারধর করে আমরা বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা করি। মামলা আপস করার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা মামলা থেকে বাঁচার জন্য ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা কেউ এ ধরনের ঘটনার সাথে জরিত নই। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদঘাটন করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান বলেন, বিজ্ঞ আদালতের পিটিশন পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।