বৃহত্তর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা অন্যতম যোগাযোগ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত চৌরাস্তা একটি বানিজ্যিক এলাকা হিসাবে খ্যাত। যে স্থান দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিনাঞ্চল সহ রাজধানী ঢাকা যেতে হলে উক্ত স্থান হয়ে যেতে হয়। এবং স্থানটি বাংলাদেশের মধ্যে যে কয়েকটি বাসের জংশন রয়েছে এর মধ্যে নান্দাইল চৌরাস্তা অন্যতম। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ স্টেশন দিয়ে যাত্রী সাধারণ যাতায়াত করছে। ফলে এর সৌন্দর্য বর্ধন ও নান্দনিক সাজে সজ্জিত করতে বিগত পাঁচ বছর পুর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়ে উক্ত গোলচক্করে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এর যথাযথ সংরক্ষণ এর জন্য চারদিকে গ্রিল দিয়ে গোলচক্করটি বেষ্টিত করা হয়।
পরবর্তীতে স্থানটিকে পরিবেশ বান্ধব করতে নান্দাইল প্রেসক্লাবের প্রস্তাবনায় চারিদিকে কৃঞ্চচূড়া গাছ রোপণ করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ফুলে ফুলে সজ্জিত হয়ে এলাকার পরিবেশটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। কিন্তু গোলচক্করটি বর্তমানে অরক্ষিত থাকায় নান্দনিকতার পরিবর্তে ঝোপঝাড়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় বিভিন্ন সাপের উপদ্রুব বেড়ে যায়এবং সন্ধ্যার পরেই পথচারীদের মল-মুত্র ত্যাগ করায় স্থানটি আজ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে অথচ উক্ত চক্করটিকে একটু সংস্কার করে মিনি পার্ক তৈরি করে যাত্রী সাধারনের বসার পরিবেশ হলে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রী সাধারণ কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্বস্তির মাধ্যমে সময় কাটাতে পারতো। সভ্যতার ব্যস্ততম সময়ে মানুষ কিছু সময়ের জন্য হলেও বিশ্রাম চায়।
নান্দাইল উপজেলা সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও বর্তমানে নেত্রকোনা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো ইমদাদুল হক বলেন,
এ স্থানটি একটু উদ্যোগ নিলেই মনোরোম পরিবেশ বজায় থাকবে। চারিদিকে কৃঞ্চচুড়ার রঙিন ফুলে ফুলে নান্দনিকতা ভরে উঠবে। পথচারীদের অবসর সময়ে মিলন মেলায় পরিনত হবে ।
এ প্রসঙ্গে তারঘাট আনছারীয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো আব্দুর রহিম জানান, এ স্মৃতি সৌধটি চৌরাস্তার মতো একটি সুন্দর জায়গায় অবস্থিত হওয়ায় নি:সন্দেহে সৌন্দর্য বর্ধন করেছে। এর পরিবেশ সুন্দর হলে যান্ত্রিক যুগে মানুষ ক্ষনিক সময়ের জন্য হলেও স্বস্তি পেত।
নান্দাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মো এনামুল হক বাবুল বলেন, চৌরাস্তা গোলচক্কর বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। দেশের যেকোনো স্থানে যেতে হলে এ গোলচক্কর ভায়া যেতে হয়। বিধায় উপজেলা প্রশাসন ইচ্ছে করলে এ স্থানটিকে যথাযথ সংরক্ষণ ও তদারকির মাধ্যমে একটা মিনি পার্কের ব্যবস্থা হলে যাত্রী সাধারণ উপভোগ করতো। তিনি নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।