বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলীতে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সক্রিয় নীরব ভোট বিল্পবের মাধ্যমে নান্দাইলের মানুষ ধানের শীষে বিজয় চিনিয়ে আনবে: ইয়াসের খান চৌধুরী দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিবিদ সীডের অবদান অপরিসীম কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন মোঃ ইকরাম হোসাইন তাড়াইলের হাতপাখার এমপি প্রার্থী আলমগীর হোসাইন তালুকদারের পথসভা তাড়াইলে ঝিনুক চেয়ারম্যান গ্রেফতার তাড়াইলে সাংবাদিকদের সাথে হাতপাখার এমপি প্রার্থীর মতবিনিময় নান্দাইলকে সততা ও পরিশ্রম দিয়ে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চান ইউএনও ফাতেমা জান্নাত চাকুরী বহাল রাখার দাবিতে মানবন্ধন নাসিরনগরে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

গণঅভ্যুত্থানে হত্যা-হামলার বিচার চাইলেন জুলাই যোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক সংবাদ বাংলাদেশ
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৮০৫ বার পঠিত

বিচার, মর্যাদা, সংস্কারের দাবিতে স্মরণে ও কান্নায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (০৪ জুলাই) গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সম্মিলনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়।

শহীদ মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এক বছর কেউ মনে রাখেনি, আজ ১ বছর পর মনে পড়ল? শহীদ পরিবার এখনও স্বীকৃতি পায়নি। এখনও বিচার হয়নি।

আহত জুলাই যোদ্ধা নাহিদ হাসান বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এটাই বোনাস। শহীদ হলে নাম নিশানা মুছে যেত।

শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মুস্তাফিজ বলেন, জাতির স্বার্থে এক থাকুন। যত মতভেদ থাকুক, দেশের সংস্কারের জন্য একমত থাকুন। নির্বাচনের আগেই যেসব সংস্কার সম্ভব সেগুলো করুন। আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি হলে ভালো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শহীদ সানির মা রহিমা বেগম বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে আর কেউ হাসিনার মতো হতে না পারে। আমরা হাসিনার আমলের মতো শহীদ বা আহতদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চাকরি চাই না। হাসিনা পালিয়ে গেছে। কারণ ওখানে তার জায়গা আছে। এ দেশ ছাড়া আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নাই।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাভিন মুরশিদ বলেন, শহীদ পরিবার বিচার চাইতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এখনও হয়নি। এগুলো দুঃখজনক। শহীদ মনির হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, এক বছর হয়ে গেল, আজও আমার স্বামীর মরদেহ পায়নি।

সম্মিলনে আরও বক্তব্য দেন, শহীদ জুলফিকার শাকিলের মা আয়েশা বিবি, শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, শিক্ষক হাসান আশরাফ, শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বাবা মাহবুবুর রহমান, নির্মাতা আকরাম খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা উমামা ফাতেমা, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, আইনজীবী হুমায়রা নূর, শহীদ ইয়ামিনের বাবা মো মহিউদ্দিন, শহীদ মইনুলের স্ত্রী মায়মুনা ইসলাম, শহীদ রমিজ উদ্দিনের বাবা একেএম রকিবুল ইসলাম, জুলাই যোদ্ধা আল আমিন, জুলাই যোদ্ধা মাওলানা শফিকুর রহমানসহ শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..