শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি গণঅভ্যুত্থানে হত্যা-হামলার বিচার চাইলেন জুলাই যোদ্ধারা মেহেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতি প্রায় ৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সব সময় জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদান স্মরণে রাখবে: ড. ইউনূস ‘ঢাকায় শুরু হচ্ছে অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ বেতাগীতে জামায়াত ইসলামের ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারনা ও স্যালাইনসহ ঔষধ বিতরণ নান্দাইলে ট্রান্সফরমার সহ চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক মুরাদনগরে সেই নারীর ঘটনায় চার আসামীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর বেতাগীতে স্লুইস নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকদের দুর্ভোগ : ফসল আনাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

গণঅভ্যুত্থানে হত্যা-হামলার বিচার চাইলেন জুলাই যোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক সংবাদ বাংলাদেশ
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৭৫১ বার পঠিত

বিচার, মর্যাদা, সংস্কারের দাবিতে স্মরণে ও কান্নায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (০৪ জুলাই) গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সম্মিলনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়।

শহীদ মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এক বছর কেউ মনে রাখেনি, আজ ১ বছর পর মনে পড়ল? শহীদ পরিবার এখনও স্বীকৃতি পায়নি। এখনও বিচার হয়নি।

আহত জুলাই যোদ্ধা নাহিদ হাসান বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এটাই বোনাস। শহীদ হলে নাম নিশানা মুছে যেত।

শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মুস্তাফিজ বলেন, জাতির স্বার্থে এক থাকুন। যত মতভেদ থাকুক, দেশের সংস্কারের জন্য একমত থাকুন। নির্বাচনের আগেই যেসব সংস্কার সম্ভব সেগুলো করুন। আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি হলে ভালো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শহীদ সানির মা রহিমা বেগম বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে আর কেউ হাসিনার মতো হতে না পারে। আমরা হাসিনার আমলের মতো শহীদ বা আহতদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চাকরি চাই না। হাসিনা পালিয়ে গেছে। কারণ ওখানে তার জায়গা আছে। এ দেশ ছাড়া আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নাই।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাভিন মুরশিদ বলেন, শহীদ পরিবার বিচার চাইতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এখনও হয়নি। এগুলো দুঃখজনক। শহীদ মনির হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, এক বছর হয়ে গেল, আজও আমার স্বামীর মরদেহ পায়নি।

সম্মিলনে আরও বক্তব্য দেন, শহীদ জুলফিকার শাকিলের মা আয়েশা বিবি, শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, শিক্ষক হাসান আশরাফ, শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বাবা মাহবুবুর রহমান, নির্মাতা আকরাম খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা উমামা ফাতেমা, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, আইনজীবী হুমায়রা নূর, শহীদ ইয়ামিনের বাবা মো মহিউদ্দিন, শহীদ মইনুলের স্ত্রী মায়মুনা ইসলাম, শহীদ রমিজ উদ্দিনের বাবা একেএম রকিবুল ইসলাম, জুলাই যোদ্ধা আল আমিন, জুলাই যোদ্ধা মাওলানা শফিকুর রহমানসহ শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..