রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কমিশনের মধ্যে যে যে দলের আছেন, সে সেই দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন : হাসনাত আবদুল্লাহ তাড়াইলে কাপড়ের দোকানে চুরি, প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ব্যাপক গণসংযোগ মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি গঠন নলছিটিতে শতাধিক সনাতন ধর্মালম্বীর বিএনপিতে যোগদান আমতলীতে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার মিলে মিশে নিয়োগ পরীক্ষা! অধ্যক্ষের ছেলে ও দাতা সদস্যের ছেলের স্ত্রী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের বাবার পরলোকগমন রাইজ এবাভ অল ২০২৫: স্বপ্ন, সাহস আর নেতৃত্বের উৎসবে অনুপ্রাণিত হলো হাজারো মানুষ তাড়াইলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ পালিত

“জনমত ছাড়াই সীমানা পরিবর্তন অগ্রহণযোগ্য”—রংপুর-৩ আসনে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন

রংপুর ব্যুরো:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৯৫ বার পঠিত
রংপুর-৩ আসনে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন --------------------- ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণকে ঘিরে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করেন।

আন্দোলনকারীরা ৯নম্বর ওয়ার্ডকে পুনরায় রংপুর সদর আসনে সংযুক্ত করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দেওয়ানী, স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব লিমন, আলমগীর শাহীনসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের নতুন গেজেটে সিটি কর্পোরেশনের ৯নম্বর ওয়ার্ডকে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি কর্পোরেশন) আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ এই ওয়ার্ড রংপুর সদরের প্রাণকেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে বাসিন্দাদের কেন ২৫ কিলোমিটার দূরের রংপুর-১ আসনে যেতে হবে, তা এলাকাবাসীর কাছে বোধগম্য নয়। এ সিদ্ধান্তকে তারা স্থানীয় জনগণের স্বার্থবিরোধী বলে আখ্যা দেন।

সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, “রংপুর সদর আসনে সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড থাকা উচিত। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎ করে ৮টি ওয়ার্ড রংপুর-১ আসনে যুক্ত করা হয়। এবার বৃহত্তম ৯নম্বর ওয়ার্ডকেও সেই আসনে যুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের মতামত নেওয়া ছাড়াই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই গেজেট প্রত্যাখ্যান করছি এবং সব ওয়ার্ডকে সদর আসনে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। দাবি দ্রুত না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামকে একটি স্মারকলিপিও দেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..