বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

১০টা মার্ডার করা লাগলে করবেন, আমি দেখবো

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬১৪২ বার পঠিত

এটা আমার নির্দেশ, মার খেয়ে আসা যাবে না, মার দিয়ে আসতে হবে। তার জন্য যদি ১০টা মার্ডারও করা লাগে, সেটাই করে আসবেন। বাকিটা আমি দেখবো। জনসভায় ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আমার একটা লোকের গায়ে এক ফোটা রক্ত ঝরে, আপনারা ১০ ফোটা রক্ত নিয়ে আসবেন। বাকিটা আমি দেখবো, ইনশাআল্লাহ।’

সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নে পাঁচ পুকুরিয়া গ্রামের এক উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আউয়ালের ছেলে মো. মিজানুর রহমান খানের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল। এ নিয়ে উপজেলা জেলাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

এক মিনিটের ভিডিওতে মিজানুর আরও বলেন, ‘ছাড় দেওয়া যাবে না, এক চুল পরিমাণও ছাড় দেবো না। মিজান কী জিনিস এখনও জোয়াগ ইউনিয়নের অনেক লোক জানে না। যখন নমিনেশন নিয়ে আসছি তখন থেকেই জানা উচিত, মিজান কী জিনিস। রাজনীতি করিনাই, করতে পারি নাই, বাবার নির্দেশের কারণে। ৮৮ সাল থেকে রাজনীতি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত রাজনীতি করেছি। এলাকায় এসে রাজনীতি করতে পারিনাই। বাবা বলেছে আমি রাজনীতি করছি, তোমার রাজনীতি করার দরকার নেই। বাবা ৫৫ বছর অধ্যাপক আলী আশরাফ সাহেবের পাশের চেয়ারে বসে ছিলেন। তিনি সে সম্মানটুকু দিয়েছেন। আমি ওনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’

এ সময় ওই উঠান বৈঠকে তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আউয়ালও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মো. মিজানুর রহমান সংবাদদাতাকে বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর আমি একটি উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছি। আমার ওই বক্তব্যের ভিডিওচিত্র ধারণ করে বিরোধী পক্ষ এডিট করে সামাজিকভাবে আমাদের হেয় করার জন্য ভাইরাল করেছে। এটি জানার পর ৩১ ডিসেম্বর চান্দিনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করছি।

কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, মিজানুর রহমানের বক্তব্য এডিট করে ভাইরাল করা হয়েছে মর্মে তিনি বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..