বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রনি-সীমান্ত নেতৃত্বে চুদলিংপং প্রতিবাদ মঞ্চ (চপম) যাত্রা শুরু করলো সরকারি বাঙলা কলেজের সাংবাদিক সমিতির সভাপতির উপর হামলা মোরেলগঞ্জে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আমতলীর ইউএনওর গোপন বৈঠক! নান্দাইলে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীর ডোমারে সেবা ক্লিনিক এ সিজারের রোগীর রক্ত ক্ষরণে নারীর মৃত্যু চিলমারীতে “নিরাপদ সড়ক দিবস” উপলক্ষে রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলন, প্রাপ্তি ও সক্ষমতা ! ঝালকাঠিতে যুব সংগঠনের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

যানজটঃ এস.এম আক্তারুজ্জামান-ডিআইজি-বরিশাল রেঞ্জ

ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি), বরিশাল রেঞ্জ
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ৬২৮৮ বার পঠিত
এস.এম আক্তারুজ্জামান: ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)

ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি), বরিশাল রেঞ্জ:

একটু আগেই একটি পোষ্ট করেছিলাম যানজট নিয়ে। বলেছিলাম যানজট গবেষনার কথা।

কয়েক বন্ধু আমাকে কিছু গবেষনা করতে বললেন। আমার মতে, যানজট তিন প্রকারঃ কেপাসিটি জট, ক্লিয়ারেন্স জট, এবং ডিসিপ্লিন জট।

কেপাসিটি জটে পুলিশের কিছুই করার নেই, এতে কাজ করবে নগর প্ল্যানারগন। রাস্তার ক্যপাসিটি যদি লোডের চেয়ে কম হয় তাহলে কেপাসিটি বাড়াতে হবে। নির্মান করতে হবে নুতন রাস্তা অথবা প্রসস্থ করতে হবে রাস্তা। ঢাকায় কেপাসিটি জট নেই বলে আমার ধারনা।

পরেরটি হল ক্লিয়ারেন্স জট। এক্ষেত্রে রাস্তার ক্যপাসিটি থাকে, কিন্তু রাস্তার ক্লিয়ারেন্স কাজ করেনা। ক্লিয়ারেন্স আবার দুই প্রকারঃ পার্কিং ক্লিয়ারেন্স এবং গতি ক্লিয়ারেন্স। ঢাকায় পার্কিং ক্লিয়ারেন্স বা ফাইনাল ক্লিয়ারেন্স এর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। গাড়ি তার গন্তব্যে পৌছে পার্কিং করতে পারেনা।

বাবা-মায়ের সাথে ডিআইজি
এস.এম আক্তারুজ্জামান

ঢাকাতে পার্কিং হাব হল কয়েকটিঃ নিউমার্কেট, গুলিস্তান, সচিবালয়, উত্তরা, ডেমরা, শাহজাহানপুর, মোহাম্মদপুর বাস-স্ট্যান্ড ইত্যাদি। এই জায়গাগুলিতে আন্ডার-গ্রাউন্ড পার্কিং স্পেস তৈরি করতে হবে। আযিমপুর কবরস্থানের নীচে কয়েকহাজার গাড়ির পার্কিং ক্লিয়ারেন্স সুযোগ করা যায়। নিউমার্কেটে একটি গাড়ি পার্কিং করতে যদি এক মিনিট সময় নেয়, তাহলে নিউমার্কেট থেকে গাবতলি সবজায়গায় এক মিনিট জট হবে। অন্যদিকে ওস্মানি উদ্যানের নীচে বিশাল পার্কিং স্পেস তৈরি করলে সচিবালয়, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তানের পার্কিং জট কমানো যাবে। অন্যদিকে গতি ক্লিয়ারেন্স এর জন্য চাই রাস্তা দখল মুক্ত করা, রাস্তায় পার্কিং বন্ধ করা, এবং রাস্তার ক্রসিং এর সংখ্যা কমিয়ে দেয়া।

 

ঢাকায় পুর্ব পশ্চিম এবং উত্তর দক্ষিনে দুইটি করে চারটি স্কেলেটন রোড তৈরি করা যা দেখাবে হ্যাশট্যাগের মত #। এই চারটি স্কেলেটন রোডে কোন ট্রাফিক ক্রসিং থাকবেনা। ছোট ছোট ওভারপাস দিয়ে গাড়ি ক্রস করে যাবে। এগুলি হবে ফ্রি-ওয়ে। অর্থাৎ এই স্কেলেটন রোডে গাড়ি থেমে থাকবেনা। স্কেলিটন রোডের মাথায় থাকবে বিশাল পার্কিং ক্লিয়ারেন্সের সূযোগ। আর ডিসিপ্লিন জট হয় দুই রকমঃ নিয়মিত এবং অনিয়মিত। নিয়মিত হত ট্রাফিক নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানো, পার্কিং করা, লেন না মানা ইত্যাদি। আর অনিয়মিত হল, কোন কারনে রাস্তায় কোন অপ্রত্যাশিত ব্লক তৈরি হলে ধৈর্য ধরে বামে গাড়ি সারিবদ্ধ করা, চালাকি করে ডানের রাস্তা দখল না করা এবং যত দ্রুত সম্ভব অস্থায়ী ব্লক দূর করা।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..