মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে সাংবাদিকদের সাথে হাতপাখার এমপি প্রার্থীর মতবিনিময় নান্দাইলকে সততা ও পরিশ্রম দিয়ে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চান ইউএনও ফাতেমা জান্নাত চাকুরী বহাল রাখার দাবিতে মানবন্ধন নাসিরনগরে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাড়াইলে এনসিপির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ ইকরাম হোসাইনের মতবিনিময় সভা রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী’: ঢাকা নান্দাইলে বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান খান মুকুলের ইন্তেকাল তাড়াইলে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আমতলীতে ফাজিল পরীক্ষায় নয়জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

ভয়ংকর কে-২ : বিশ্বাসঘাতকতার এই দিনে

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৫৭৮ বার পঠিত
ফাইল ছবি

এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালের ১৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট স্পর্শ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন। সেই পর্বতজয়ের আনন্দে যখন সবাই ভাসছে, তার পরের বছর ১৯৫৪ সালের ৩১ জুলাই পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কে-২ জয়ের কথা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এবার কিন্তু এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে নয়। ইতালিয়ান পর্বতারোহী আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টায় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ০২৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় কে-২ মাত্র ২৩৭ মিটার বা ৭৭৮ ফুট ছোট। হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।

 

এই পর্বতশৃঙ্গে প্রথম ১৯০২ সালে আরোহণের চেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল এবং তাঁরা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮ হাজার ৬শ’ ফুট বা ৫ হাজার ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। অন্য অসফল প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির অভিযান এবং তাঁরা প্রায় ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার ১শ’ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার ফুট বা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন।

 

শেষপর্যন্ত ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূ-তাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে কে-২ জয় করেন আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এই কঠিন পর্বত জয় করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও পরিচিত আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এর কারণ তাদের এই কে-২ অভিযান দলের সদস্য পাকিস্তানের আমির মেহদী ও ওয়াল্টার বোনাট্টিকে মাঝপথে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে সামিটে যান। হয়তো সেদিন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই প্রথম কে-২ চূড়ায় পদচিহ্ন আঁকতে পেরেছিলেন তারা।

 

কে-২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম ও বর্বর হওয়ায় এটি জংলি পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারি পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও কে-২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার একজন। ফলে বোঝাই যায় কে-২ কত ভয়ংকর পর্বত।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..