রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক রূপগঞ্জে উপজেলা দিবস উদযাপন ও উন্নয়ন মেলা তাড়াইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মির্জাগঞ্জে এসডিএফ এর উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান নান্দাইলে বর্নিল আয়োজনে কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত নান্দাইল পৌরসভার কেন্দ্রীয় পৌর কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর উদ্বোধন করেন পৌর প্রশাসক মো: ফয়জুর রহমান গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের মাসব্যাপী কর্মসূচি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি ইরান-ইসরাইলকে তিরস্কারের পর ট্রাম্প বললেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর’ মুরাদনগরে ৫ মাসে কোরআনে হাফেজ ৮ বছরের শিশু সাইদুল ইসলাম

জবিতে যৌন নিপীড়ন: শিক্ষক ইমন সাময়িক বরখাস্ত, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৮৩০ বার পঠিত

শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর সাথে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার জন্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম তার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করে। এ বিষয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধকল্পে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আজকের সিন্ডিকেট (৯৪তম) বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে অসহযোগিতা করায় তাকে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনকে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফারজানা মিমের পরীক্ষার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, মিমের বিগত পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে।
এসময় উপাচার্য আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার জের ধরে বলেন, অবন্তিকার বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভায় আলোচনা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবিহিত করা হয়েছে। স্বাধীনভাবে সুষ্ঠু তদন্ত হবে।
যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম বলেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন স্যার আমাকে যৌন হেনস্তার পাশাপাশি মানসিক টর্চার করেছেন। পরীক্ষায় অংশ নিলেও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে আমার নাম রাখা হয়নি। বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..