রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক দলে সাংবাদিকদের ভূমিকা: দলীয় পদ নাকি পেশাদারিত্ব: আহমেদ আবু জাফর সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফে ১ম হলেন হরিরামপুরের জয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঝালকাঠির নিহত ১০ পরিবারকে জেলা পরিষদের ২০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭৮২ বার পঠিত

আজ জাতীয় প্রেসক্লাব এ রামরু আয়োজিত প্রেস কনফারেন্স এ “বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২৪” বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ডঃ তাসনিম সিদ্দিকী উপস্থিত সংবাদ কর্মিদের সামনে উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে শ্রম অভিবাসনের প্রবণতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনাগুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রতিবেদনের উপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উপর আলোচনা করা হয়।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯,০৬,৩৫৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০.৮০% কম। গণঅভ্যুত্থান এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে অভিবাসনের গতি সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়, তবে শেষ কয়েক মাসে তা পুনরায় গতি লাভ করেছে। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, এবং কাতার প্রধান গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রতিবেদনটি উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালে নারী অভিবাসী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৪ সালে রেমিট্যান্সের মোট পরিমাণ ২৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৫৪% বৃদ্ধি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিবাসন খাতে নীতি সংস্কার এবং দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন। বিশেষ করে, নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ট্রেনিং সেন্টারগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি, এবং রিক্রুটিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুপারিশ উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন বিষয়ক পৃথক কমিশন গঠন, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর নীতি প্রণয়ন ইত্যাদি।

প্রেস কন্ফারেন্স এ আরোও উপস্থিত ছিলেন মেরিনা সুলতানা, ডিরেক্টর প্রোগ্রাম, মোঃ পারভেজ আলম, সিনিয়র অফিসার আইটি ও কমিউনিকেশন সহ রামরুর সহকর্মী বৃন্দ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..