বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সমস্যা সমাধানে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৭৫৯ বার পঠিত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। আমরা আশাবাদী এই সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছি। আমরা আশা করি তারা আমাদের সাথে সহযোগিতা করবে, যেভাবে আমরা তাদের সাথে সহযোগিতা করছি। সুতরাং, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।  আমরা আমাদের সমস্যা তুলে ধরেছি এবং আমি আশা করি এর সমাধান হবে।’

বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটি ইতিবাচক কারণ, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার অধ্যাপক ইউনূস ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের আবেদন তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে মার্কিন রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির উদ্যোগটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরাই প্রথম দেশ যারা এই ধরনের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’ তিনি চিঠিতে ফেব্রুয়ারিতে উচ্চতর প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথাও উল্লেখ করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পর সরকার এখনো কোনো সাড়া পায়নি।

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো বা দূর করা এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। কোন পণ্যের ওপর জোর দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় সে সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ পরিচালনা করছি’।

শেখ বশির বলেছেন, ‘আসলে এটি একটি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল বিষয় এবং যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াও কিছুটা কঠিন। এটি বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের কৌশলগুলো ঠিক করব।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বশির বলেন, প্রায় ১শ’টি পণ্যের ওপর শূন্য আমদানি শুল্ক আরোপের সরকারের পদক্ষেপের ফলে তারা অবশ্যই ইতিবাচক কিছু আশা করছেন। তিনি বলেছেন,  ‘আমরা প্রয়োজনীয় কঠোর পরিশ্রম করছি এবং বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় তা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

ইতোমধ্যে, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যমান ১৯০টি পণ্যের পাশাপাশি আরো ১শ’টি মার্কিন পণ্যের ওপর শূন্য আমদানি শুল্ক দিতে প্রস্তুত।

বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকাল সোমবার মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে চিঠিটি পাঠিয়েছেন।

উপদেষ্টা চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশ মার্কিন তুলার বৃহত্তম আমদানিকারকদের মধ্যে একটি, তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর উচ্চ শুল্কের সম্মুখীন হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..