বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্টস’ ফোরাম ঢাকা’র আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা জাতীয় দৈনিক ‘দি কান্ট্রি টুডে’ পত্রিকার সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন সম্পন্ন তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এমপি পদপ্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ আমতলীতে বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৃদ্ধ নিহত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ বন্ধ করল প্রশাসন নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত চুয়াডাঙ্গা এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী রেজাউল হক বিশ্বাস আর নেই ডাকসু নির্বাচন: যা জানা দরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সারা দেশে পূজা উদযাপিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশ তার নিজ গতিতে এগিয়ে চলছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৩৯ বার পঠিত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাওয়ায় কিছু রাষ্ট্র মানবাধিকারের নামে পা টেনে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু এভাবে দেশকে দমানো যাবে না। বাংলাদেশ তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে। যেসব রাষ্ট্র মানবাধিকারের ধোয়া তুলছে, তাদের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল পরিষদের ২২তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে সভাটির আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ যারা মানবাধিকারের ধোয়া তোলেন, তাদের দেশেই মানবাধিকারের কোনো খবর নেই। সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়, টেলিভিশনে তা সম্প্রচার হয়। ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের অধিকার রক্ষার জন্য ঢিল দেয়, পাল্টা উত্তরে ইসরাইলের সেনাবাহিনী ব্রাশ ফায়ার করে। সেটার বিরুদ্ধে একটি বাক্যও নেই।

তিনি বলেন, আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এজন্য বাংলাদেশের পা টেনে ধরতে হবে। টেনে ধরার উপায় কী? মানবাধিকার! নিজের দেশে মানবাধিকারের কোনো খবর নেই, টেনে ধরার উপায় হচ্ছে মানবাধিকার।

মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের স্বাধীনতা যাতে না হয়, সেজন্য অনেকে পা টেনে ধরার চেষ্টা করেছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখনও কেউ পা টেনে ধরে আমাদের দমাতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সমাজে মানবাধিকার যেমন প্রয়োজন, নিজের ঘরেও তেমনি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনার ঘরে যিনি হেল্প করে কাজের মেয়ে বা ছেলে, তার যে অধিকার আছে, মানবাধিকার আছে, তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিজের ড্রাইভার তারও অধিকার আছে, মানবাধিকার আছে। সেটিও সুরক্ষা করতে হবে। আর যেসব রাষ্ট্র অন্যদের পা টেনে ধরার চেষ্টা করে তাদেরও অনুরোধ করব নিজের দেশে আগে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। নিজের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা না করে অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।

১৫ আগস্টের কথা তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনাই এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার হরণের ঘটনা। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করাই সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অংশ নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে, সেটিও মানবাধিকার লঙ্ঘন। ২১ আগস্টের ঘটনাও এদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

সংগঠনটির নেতা ড. ফরিদ উদ্দিন ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল রহমান, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ড. শাহজাহান প্রমুখ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..