শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাইজ এবাভ অল ২০২৫: স্বপ্ন, সাহস আর নেতৃত্বের উৎসবে অনুপ্রাণিত হলো হাজারো মানুষ তাড়াইলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ পালিত তাড়াইলে ইসলামী যুব আন্দোলনের নবাগত সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত নলছিটিতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত পটুয়াখালীতে দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি সাব্বির সম্পাদক তাওহীদ নলছিটিতে সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর গণসংযোগ নান্দাইল ডা: আমিমুল ইসলাম ভুইয়ার মায়ে’র ইন্তেকাল তাড়াইলে জমি-সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসীর স্ত্রী আহত, স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ জামাত প্রার্থী সুলতান আহমদের বেতাগীতে মতবিনিময় ও গণসংযোগ 

ভোলায় আমনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৬০৫৪ বার পঠিত

চলতি বছর ঝড়-জলোচ্ছ্বাস সহ চার দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও ভোলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার পোকার আক্রমণ তেমন ছিলো না, তাই ভালো ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাশি।

এরই মধ্যে ধান মাড়াই শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। বাজার দাম ভালো থাকায় আগ্রহ বেড়েছে তাদের।
দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে পাকা ধানের সমারোহ। চার দফা প্রকৃতিক দুর্যোগ আর সার-ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির সংকট কাটিয়ে সোনালি ধান শোভা পাচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

কেউ ধান কাটছেন, কেউবা বস্তায় তুলছেন। এমনি ব্যস্ততা কৃষকদের। কারো যেন বসে থাকার সময় নেই।

ভোলা সদরের চর সামাইয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. মাহফুজ বলেন, এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছি, ফলন অনেক ভালো হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে ধান ঘরে তুলবো। আরেক কৃষক মনির ও আলমগীর বলেন, শুরুতে কয়েক দফা জোয়ার, নিম্নচাপ এবং সিত্রাং সহ বেশ কয়েকটি ঝড় হওয়াতে ফলন নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলো, কিন্তু সব সমস্যা কাটিয়ে আমরা ঘুরে দাড়িয়েছি, তেমন বিপর্যয় হয়নি।

৩ একর জমিতে আমনের আবাদ করেছেন মালেক পন্ডিত। তিনি বলেন, ক্ষেতের ধান পেকেছে, আমরা মাড়াই শুরু করে দিয়েছি। পাইকাররা ক্ষেত থেকে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, এবার মণ প্রতি ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটামুটি উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভ হবে। বিগত বছর এমনটি হয়নি। তখন ধানের দাম কম ছিলো।

এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি বছরই ভালো ফলন হয়ে থাকে দ্বীপজেলা। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। কৃষকদের উৎপাদিত এসব ধান জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দেশের অন্য জেলায়।

এ ব্যাপারে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাসান মো. ওয়াসিরুল কবির বলেন, এবার প্রকৃতিক বিপর্যয়ের পরেও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার ভালো পেয়ে কৃষকরাও খুশি। এ বছর জেলায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে বলে মনে করছে কৃষিবিভাগ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..