বরগুনার আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গাফফার আকন ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করে গাফফার আকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে শত্রুতার জেরে সামসুল হক মৃধা ও তার স্বজন সাফিয়া বেগম হয়রানি করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনাখালী গ্রামের জেএলনং-২৩ মৌজার ৩০১ নং খতিয়ানের ৪৫৭ নং দাগে আসমত আলী মৃধা ১.১৫ একর জমির মালিক ছিলেন। ১৯৫৪ ও ১৯৬৬ সালের চারটি দলিলে এর মধ্যে ১.০৩ একর জমি তিনি আব্দুল মান্নান আকনের কাছে বিক্রি করেন। অবশিষ্ট ১২ শতাংশ জমিতে তার ছেলে সামসুল হক মৃধা ও কাঞ্চন মৃধা বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
২০১৯ সালে একই জমি নিয়ে সামসুল হক মৃধা আদালতে দুটি মামলা করেন। তদন্তে প্রমাণিত হয় মামলাগুলো মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। আদালত তখন সেগুলো খারিজ করে দেন।
তবে সম্প্রতি আবারো একই জমিকে কেন্দ্র করে সামসুল হক মৃধা ও তার চাচাতো ভাবি সাফিয়া বেগম অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গাফফার আকনসহ চারজনের বিরুদ্ধে জমি দখল ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু স্থানীয়রা জানান, গাফফার আকন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ব্যবসা করছেন, তারা এলাকায় থাকেন না। তাই মামলায় বর্ণিত মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
গাফফার আকন বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমরা ঢাকায় ব্যবসা করছি। বছরে এক-দুবার গ্রামের বাড়িতে যাই। অথচ আমাদের হয়রানি করতে পুরনো ঘটনার ভিত্তিতে নতুন করে মামলা দেয়া হয়েছে। আদালত পূর্বের মামলাগুলো খারিজ করেছিলেন, এবারও তদন্তে সত্য প্রকাশ পাবে।
অন্যদিকে মামলার বাদী সামসুল হক মৃধা স্বীকার করেন তার বাবা জমির বেশিরভাগ অংশ বিক্রি করেছিলেন। তবে অবশিষ্ট জমি না পাওয়ার কারণেই তিনি মামলা করেছেন। তবে মামলায় বর্ণিত মারধরের ঘটনাটি ঘটেনি বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
গাজীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, মামলার নথিপত্র হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।