মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রংপুরসহ আট বিভাগকে প্রদেশ ঘোষণার দাবি কুড়িগ্রামে ভ্যান ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু উলিপুরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক -কর্মচারীদের কর্ম বিরতি, বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। করিমগঞ্জে নবীন বরন, সংবর্ধনা, বিতর্ক, আলোচনা ও অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত আমতলীতে নবম শ্রেণির ছাত্রের যুদ্ধবিমান আবিষ্কার, অর্থসংকটে থেমে আছে সিফাতের স্বপ্নযাত্রা আমতলীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা, র‌্যালি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ঢাকায় পুলিশের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত — জাতি হিসাবে আমরা ব্যর্থ ও লজ্জিত: বিএনপি নেতা ড. কাজী মনির পরপারে পাড়ি জমালেন সাবেক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলহাজ্ব মো: আব্দুল হামিদ বেতাগীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা

চরফ্যাশনে জলাবদ্ধতায় চরাঞ্চলে ডুবেছে শতশত একর জমির ফসল

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২
  • ৬১৮৮ বার পঠিত
ছবি: বিডি পিপলস নিউজ

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলীয় এলাকায় চাষিদের শতশত একর জমির ধান, বাদাম, মুগ ডাল ও মরিচ ডুবে গেছে। গত তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

 

যার ফলে চাষিরা পানিতে ডুবে যাওয়া ধান, বাদাম ও মরিচ এবং মুগ ডাল কাচা ও আধা পাকা অবস্থায় তুলে নিচ্ছে। কৃষকরা জানান ঋণ করে জমি বছর লগ্নি (ভাড়া) নিয়ে ফসল ফলিয়েছেন। জমিতে ভালো ফসল হলেও বৃষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাজ পড়েছে। চর মানিকা, চর মাদ্রাজ ও ঢাল চর এবং চর নিজামের কৃষক আবু তাহের,বেলালসহ আবদুল জলিল বলেন,ধারদেনা করে লগ্নির জমিতে ধান চাষ করেছি। এ বছর ধান ও বাদাম, মুগ ডাল ও মরিচের ভালো ফলন হয়েছে। এখন ফসল কর্তন করে ঘরে তোলার সময় হয়েছে কিন্তু এই তিন দিনের বৃষ্টিতে সকল ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কৃষক আবু তাহের বলেন, আমি এ ঋনের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। আমার কাছে একটা টাকা ক্যাশ জমা নেই। বাজারে সার কীটনাশকের টাকা বাকি, সেচের পানির টাকা বাকি ও জমি লগ্নির টাকা বাকি থাকলেও পরিশোধ করার কোনো উপায় দেখছিনা। এই কৃষক এভাবেই অশ্রু চোখে কান্নাভরা কন্ঠে কথা গুলো বলেন।

 

কথা হয় মাদ্রাজ চর নাজিমুদ্দিন গ্রামের কৃষক খালেক মিয়ায়ার সঙ্গে তিনি বলেন, চলতি বছর আমরা এক একর জমিতে মুগডাল ও এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টিতে বাদাম ও ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। সকল ফসল বৃষ্টির পানিতে এখন পঁচে যাচ্ছে। আছলামপুর ইউনিয়নের কৃষক বেলায়েত হাকিম বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ৬৪ শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম, মরিচ ও মুগডাল আবাদ করেছি। তিন দিনের বৃষ্টির কারণে সকল বাদাম উঠাতে পারিনি। একই এলাকার খলিল মিয়া বলেন, ফসলের ক্ষেতে বাদাম, মুগডাল, মরিচ রয়ে গেছে। বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় চোখের সামনে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.অমর ফারুক বলেন,আমাদের উপজেলায় কতটুকু ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার একটি তালিকা করব। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিলে কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নতুন উদ্যোমে আবারো জমিতে কৃষি আবাদে এগিয়ে আসবে আশাকরি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..