শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে প্রশাসকের দায়িত্বে পাভেল খাঁন পাপ্পু মুরাদনগরে শ্রেণিকক্ষে ছুরি প্রদর্শনের ভিডিও ভাইরাল, ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার কিশোরগঞ্জ পৌর কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোরেলগঞ্জে ৪৩২ পরিবারের মাঝে পানির ট্যাংক বিতরণ সংখ্যালঘু নির্যাতন মামলায় অব্যাহতি পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরীসহ তের জন তাড়াইলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সংখ্যালঘু নির্যাতন মামলায় অব্যাহতি পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরীসহ তের আসামি সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে তাড়াইল তিন প্রেসক্লাবের মানববন্ধন রংপুরে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় আট পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত তিস্তার পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

কনকনে শীতে কাঁপছে হরিরামপুরের জনপদ

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৮৯০ বার পঠিত

টানা কয়েকদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঠান্ডা কুয়াশায় বাইরে থাকা দায়। পৌষের বিদায় লগ্নে উত্তরের শিরশিরে ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার আবর্তে সারা দেশ কাঁপছে কনকনে শীতে।

কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে এখন হরিরামপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জবুথবু অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষের। শীত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্থানে অনেককে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রোগবালাই বেড়ে যাওয়ায় ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।

টানা কয়েক দিনের কনকনে শীতে অনেকাংশে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রবিবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে ২ বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে সেবা নিতে আসেন দিয়াপাড় গ্রামের নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বর হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন ডাক্তার ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার এলাকার খালেদা বেগম (৫০) গত শনিবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়া হওয়ার পরে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার ভর্তির পরামর্শ দেয়। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যর্মীদের ট্রিটমেন্টে আগের চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।

হাঁড় কাপানো এই শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু- পাখিরও কাহিল অবস্থা। এবং ঘন কুয়াশার কারণে বিঘ্ন ঘটছে সড়কে যান চলাচলে, ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতে কাজ না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষগুলো।

উপজেলার ঝিটকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার অটোরিকশা চালক আরিফ মিয়া বলেন, অন্য বছরের তুলনায় হরিরামপুরে শীত এইবার অনেক বেশি, সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। শীতের কারনে যাত্রীও কম হচ্ছে। আয় রোজগারও কম হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানোও কষ্টকর হয়ে গেছে।

গালা ইউনিয়নের আলমদী গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলাম জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৩ দিন যাবত কাজ পাচ্ছি না। শীতের কারণে আমাদের আয় রোজগারও কমে গেছে। বউ পোলাপান নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মানিকুজ্জামান বলেন, আমরা ৫৩৩০ টি কম্বল নিয়ে আসছি, তালিকা তৈরী হচ্ছে। তালিকা তৈরী হলেই বিতরণ করা হবে। এবং পর্যায়েক্রমে আরো কম্বল আসবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..