বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাঙ্গাবালীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম কক্সবাজারে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জসিমের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ বেতাগীতে চাঁদাবাজী ও সালিশ-বানিজ্য রুখতে বিএনপি’ র মাইকিং যেকোনো মূল্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার বদ্ধ পরিকর : শারমীন এস মুরশিদ দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাভোসে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : তুলে ধরা হবে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : চুরি যাওয়া সম্পদ ফেরত পেতে সহায়তা কামনা ভালবাসা এমনি হয়: রিমি কবিতা বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বামনা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি নেছার, সম্পাদক এনামুল

ভূতুম প্যাঁচা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৭৮৪ বার পঠিত

প্যাঁচা, পেঁচা, বা পেচক এক প্রকার নিশাচর শিকারী পাখি। স্ট্রিজিফর্মিস বর্গভূক্ত এই পাখিটির এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০টি প্রজাতি টিকে আছে। বেশীরভাগ প্যাঁচা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গ শিকার করে, তবে কিছু প্রজাতি মাছও ধরে। প্যাঁচা উপর থেকে ছোঁ মেরে শিকার ধরতে অভ্যস্ত। শিকার করা ও শিকার ধরে রাখতে এরা বাঁকানো ঠোঁট বা চঞ্চু এবং নখর ব্যবহার করে।
কুমেরু, গ্রীনল্যান্ড এবং কিছু নিঃসঙ্গ দ্বীপ ছাড়া পৃথিবীর সব স্থানেই প্যাঁচা দেখা যায়।

বাংলাদেশে ১৭টি প্রজাতির মতান্তরে ৮ গণে ১৫ প্রজাতি প্যাঁচা পাওয়া যায়, যার মধ্যে ২৫টি স্থায়ী এবং ২টি পরিযায়ী। প্যাঁচা মূলত নিঃসঙ্গচর। এরা গাছের কোটর, পাহাড় বা পাথরের গর্ত বা পুরনো দালানে থাকে। ভিন্ন প্রজাতির প্যাঁচার ডাক ভিন্ন রকম। ডাকের ভিন্নতা অনুযায়ী বাংলায় বিভিন্ন প্যাঁচার বিভিন্ন নামকরণ হয়েছে। যেমন: হুতুম প্যাঁচা (Bubo bengalensis), ভূতুম প্যাঁচা (Ketupa zeylonensis), লক্ষ্মীপ্যাঁচা (Tyto alba), খুঁড়ুলে প্যাঁচা (Athene brama), কুপোখ (Ninox scutulata), নিমপোখ (Otus lepiji) ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস অনুসারে প্যাঁচা কর্ডাটা পর্বের পক্ষী শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত Strigiforms বর্গের।

পেঁচা কবে আমাদের এই পৃথিবীতে এসেছে তা নিয়ে নিশ্চিত করে বলা না গেলেও গবেষকদের দাবী আমাদের পৃথিবীতে মানুষের আগমনের অনেক আগেই পেঁচা এই পৃথিবীতে এসেছে। এই আগে কতো বছর আগে তাও সঠিক ভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় ডাইনোসরদের ৩৫০০ বছর আগে পেঁচার জন্ম হয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। পেঁচার জীবাষ্ম গবেষণা করে গবেষকরা অনুমান করেন আজ থেকে প্রায় ছয় কোটি বছর আগে পেঁচার জন্ম হয়েছে।

প্যাঁচার মাথা বড়, মুখমন্ডল চ্যাপ্টা এবং মাথার সম্মুখদিকে চোখ। প্যাঁচার চোখের চারিদিকে সাধারণত বৃত্তাকারে পালক সাজানো থাকে যাকে ফেসিয়াল ডিস্ক বলে। এদের অক্ষিগোলক সামনের দিকে অগ্রসর থাকায় এরা দ্বিনেত্র দৃষ্টির অধিকারী।

প্যাঁচার দূরবদ্ধদৃষ্টি আছে ফলে এরা চোখের কয়েক ইঞ্চির মধ্যে অবস্থিত কোন বস্তু পরিষ্কারভাবে দেখতে পায় না। এরা এদের ধরা শিকারকে চঞ্চু এবং নখরে অবস্থিত বিশেষ এক ধরনের পালক দ্বারা অনুভব করতে পারে। প্যাঁচা তার মাথাকে একদিকে ১৩৫ ডিগ্রী কোণে ঘোরাতে পারে। তাই দুই দিক মিলে এদের দৃষ্টিসীমা ২৭০ ডিগ্রী। ফলে এরা নিজের কাঁধের উপর দিয়ে পেছনে দেখতে পায়।

প্যাঁচার শ্রবণশক্তি খুব প্রখর। শুধু শব্দ দ্বারা চালিত হয়ে এরা নিরেট অন্ধকারে শিকার ধরতে পারে। সামান্য মাথা ঘুরালে প্যাঁচা অনুচ্চ শব্দ যেমন ইঁদুরের শষ্যদানা চিবানোর আওয়াজও শুনতে পায়, এর কারণ হচ্ছে মাথার গড়ন রূপান্তরিত হওয়ার জন্য প্যাঁচার দুই কানে সামান্য আগে পরে শব্দ পৌঁছায়।। এরা বাতাসে উড়ার সময় কোনো রকম শব্দ করে না। প্যাঁচার ফেসিয়াল ডিস্ক শিকারের করা শব্দকে শ্রবনে সহায়তা করে। অনেক প্রজাতির প্যাঁচার ফেসিয়াল ডিস্ক অসমভাবে সাজান থাকে যাতে শিকারের অবস্থান নির্ণয় করা সহজ হয়। তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..