বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাঙ্গাবালীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম কক্সবাজারে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জসিমের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ বেতাগীতে চাঁদাবাজী ও সালিশ-বানিজ্য রুখতে বিএনপি’ র মাইকিং যেকোনো মূল্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার বদ্ধ পরিকর : শারমীন এস মুরশিদ দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাভোসে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : তুলে ধরা হবে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : চুরি যাওয়া সম্পদ ফেরত পেতে সহায়তা কামনা ভালবাসা এমনি হয়: রিমি কবিতা বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বামনা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি নেছার, সম্পাদক এনামুল

মোরেলগঞ্জে কৃষকদের সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ১১টি ভর্তুকির হারভেস্টার মেশিন নিখোঁজ: তদন্তে দুদক

মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৬১ বার পঠিত

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা ১৪টি আধুনিক কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের মধ্যে ১১টি নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে মেশিনগুলোর বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, সরকারের শতকরা ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে প্রতিটি মেশিন ৩২ লাখ টাকা মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। মোট ১৪টি মেশিনের মধ্যে ১১টি মেশিনের কোনো সন্ধান নেই। নিখোঁজ মেশিনগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১০ লাখ টাকা।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে পাঁচটি মেশিন বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে একটি পেয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগ। তবে বর্তমানে ১৪টি মেশিনের মধ্যে কেবল তিনটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দুদক কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, “মেশিনগুলো বেহাত হওয়ার বিষয়টি আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং নিখোঁজ মেশিনগুলোর অবস্থান জানাতে আমরা কাজ করছি। অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী দাবি করেন, যাচাই-বাছাই করেই মেশিনগুলো বিতরণ করা হয়েছিল এবং কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে বর্তমান কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৪টি মেশিনের মধ্যে ছয়টি এলাকায় পাওয়া গেছে, বাকি আটটির বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..