দীর্ঘ ১৭ বছর পর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন।
শনিবার সকালে উপজেলার মুরাদনগর ডি, আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন আয়োজন করে মুরাদনগর উপজেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। নির্ধারিত মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে আশ-পাশসহ সড়কে হাজার-হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেন।
মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের আমির আ ন ম ইলইয়াসের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন।
রফিকুল ইসলাম খাঁন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে দাফন ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে ত্রিমুখী ষড়যন্ত্র করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিলো। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে বাক্স ভরেছে। গত ১৫ বছরে দেশ থেকে ৩০ হাজার লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংশ করেছে। যারা দেশ থেকে ইসলামকে মুছে দিতে চেয়েছে তারই এ দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জুলই-আগস্ট বিপ্লবের আন্দোলনে ছাত্র জনতাকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৪ আগস্ট ঢাকার অলি গলিতে শত শত লাশ পড়েছিলো। এখনো অনেক পরিবার তাদের লাশ খুঁজে পায়নি। এখনো শহীদের রক্ত শুকায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলো থেকে ছাত্রদের ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের আর কখনো বাংলার মাটিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারী মাওলানা আমির হোসেন ও মজলিশে শুরা সদস্য জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও চাকসু’র সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলার আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন, সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম শহীদ, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক লোকমান হাকিম ভূইয়া, ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের মজলিসে শুরা সদস্য ডা. মুহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হাকিম সোহেল, কুমিল্লা উত্তর জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি সানাউল্লাহ রাসেল, মুরাদনগর উপজেলার সাবেক আমির মো. মনসুর মিয়া, বাঙ্গরা বাজার থানা আমির আব্দুর রহিম, মাওলানা আবুবকর ও মাহবুব আলম মুন্সী প্রমুখ।