শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে বসতঘর পুড়ানোর উদ্দেশ্যে খড়ের পাড়ায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মুরাদনগরে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত তাড়াইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল রাতের আধারে ঘর ভেঙ্গে নেয়ার ঘটনায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী কথা দিয়ে কথা রাখলেন না BIWTC – হাতিয়াবাসীর চরম দুর্ভোগ মুরাদনগরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ব্যাংকে টাকা জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রসহ দুইজনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন মুরাদনগরে নিখোঁজের ১০ দিনেও মেলেনি সন্তানের খোঁজ, ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

কথা দিয়ে কথা রাখলেন না BIWTC – হাতিয়াবাসীর চরম দুর্ভোগ

রিয়াজুল ইসলাম, হাতিয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭৫০ বার পঠিত
হাতিয়াবাসীর চরম দুর্ভোগ----------------- সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর দুর্গম দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার যাত্রীসাধারণ আবারও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী পরিবহনে সমস্যা দেখা দিলেও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (BIWTC) কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দ্বীপবাসীর কষ্ট লাঘবে এসটি শৈবাল প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রিপ পরিচালনা করবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।

ফলে শুক্রবার সকালে প্রায় ২০০ যাত্রী—including নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা—ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো নৌযান পাননি। যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে ঘাটে বসে থাকতে হয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। কোলের শিশু নিয়ে আসা অনেক মা অসহায়ভাবে ঘাটে বসেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কোনো সমাধান পাননি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবারই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। মৌসুমি বৈরী আবহাওয়া কিংবা ঘন কুয়াশা—যে কারণেই হোক না কেন, কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণে সাধারণ মানুষকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

যাত্রীদের দাবি, শুধু পরিবহন সংকট নয়, ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। তারা নানা কৌশলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সীমিত নৌযান চালুর সুযোগে সিন্ডিকেট নাকি টিকিট বাণিজ্য ও যাত্রী ভাড়া নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। এতে যাত্রীরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি মানসিকভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—“আমাদের সঙ্গে প্রতিবারই প্রতারণা করা হয়। BIWTC প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করে না। আমরা কি কোনোদিনও এ কষ্ট থেকে মুক্তি পাব না?”

ভুক্তভোগী যাত্রী ও স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়মিত যাত্রীবাহী জাহাজ চালু থাকলে দ্বীপবাসীর এ দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে। একইসাথে ঘাটে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি।

হাতিয়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগে এই নৌরুটের উপর নির্ভরশীল। অথচ বছরের পর বছর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে দ্বীপবাসীকে অনিশ্চয়তা ও দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা মনে করেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে হাতিয়ার মানুষ এভাবেই প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হবেন। দ্বীপবাসীর একটাই দাবি—“সিন্ডিকেট বন্ধ হোক, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হোক, আর যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো হোক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..