শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল আয়নাঘর, সব খুঁজে বের করা হবে : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৬৬ বার পঠিত

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যত আয়নাঘর রয়েছে সব খুঁজে বের করা হবে। এটা ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এবং নিরাপত্তা বাহিনী যে তদন্ত করছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর রয়েছে এবং এ ধরনের ঘর আরও বের হচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে যে এটি শুধু ঢাকায় মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে, গুম ও খুনের সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা তিনটি এলাকায় আয়নাঘর পরিদর্শন করি। তার মধ্যে দুটি র‌্যাবের, আর একটি ডিজিএফআই’র। সেখানে বন্দিদের কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সময় কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করা হয়েছে কিনা সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে মামলাগুলো হচ্ছে সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দেখছেন। প্রত্যেকটি আয়নাঘর এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো সময় লাগবে। গুম কমিশন বলবে আলামত আদৌ নষ্ট হয়েছে কিনা। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু  জায়গায় রুম ছোট ছিল, দেয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এসব বিষয় গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেখবে।

বিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..