মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় জমি দখল, মেরে ফেলার হুমকি! মির্জাগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীকে চায়ের দোকান দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা আমতলীতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বেতাগীতে জোর পূর্বক জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ ভিপি নূরের ওপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে মশাল মিছিল মেহেদীর রং শুকাতে না শুকাতেই সড়কে ঝড়ে গেল নববধুর প্রাণ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি অফিসের চেয়ারে বসে তরুণীর টিকটক ভিডিও আমতলীতে যুবদল নেতার জামায়াতে যোগদান মুরাদনগরে সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন নেত্রকোনার নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান

তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় জমি দখল, মেরে ফেলার হুমকি!

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫০ বার পঠিত

তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন বরগুনার আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রামের আব্দুল গাফফার।

অভিযোগে জানা গেছে, স্থানীয় মনির আকন, মাহতাব প্যাদা, আলতাফ খান ও তাদের সহযোগীরা জোরপূর্বক ওই জমি দখল করেছেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে বর্তমানে গাফফার নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। বাড়িতে এলেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন তারা।

সোমবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গাফফারের বাবা আব্দুল মান্নান এ অভিযোগ করেন। তিনি দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার ছেলে গাফফার চলতি বছরের ৩ জুলাই মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরীর কাছ থেকে ২৬.৩৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকেই স্থানীয় মনির আকন, মাহতাব প্যাদা ও আলতাফ খান তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শনিবার জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তারা বাঁধা দেন এবং পরদিন রবিবার জোরপূর্বক জমি দখল করে ফসল রোপণ করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে তার ছেলে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না এবং তিনিও বের হতে পারছেন না।

স্থানীয় জলিল হাওলাদারও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল গাফফারের ক্রয়কৃত জমি জোর করে দখল করেছে মনির আকন, মাহতাব প্যাদা ও আলতাফ খান।

তবে মনির আকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো চাঁদা দাবি করিনি, আর ওই জমি আমি চাষও করিনি। জামাল নামে একজন সেখানে চাষ করেছে।

জমির বিক্রেতা মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী জানান, ২৬.৩৬ শতাংশ জমি আমি গাফফারের কাছে বিক্রি করেছি। ওই জমি অন্য কারও দখলে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, একজন ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..