রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে ধানের শীষের পক্ষে শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ পাঁচকল্লি টুপি পড়িয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী সাজিয়ে বিএনপিরতে যোগদান কুড়িগ্রামে বিরল রোগে সিফাতের মাথা জুড়ে বেঁধেছে বাসা ধীরে ধীরে করছে গ্রাস নলছিটিতে এডঃ শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল উলিপুরে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন বিয়ানীবাজারের একডজন স’মিল: করাতের শব্দে হারিয়ে যায় শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা চর রাজিবপুর সাব-রেজিস্ট্রি ঝুঁকি পূর্ণ অফিসে চলছে কার্যক্রম দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর তাড়াইলে প্রয়াত সাংবাদিক মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত টেন্ডার ছাড়াই খানা প্লেট তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তাড়াইলে সেবার অঙ্গীকারে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

টেন্ডার ছাড়াই খানা প্লেট তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৭৫৪ বার পঠিত

টেন্ডার ছাড়াই বরগুনার আমতলী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁনের বিরুদ্ধে পৌর এলাকার ৭ হাজার খানা প্লেট তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ‘দেশ মঙ্গল পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এ কাজ করানো হচ্ছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষরবিহীন রশিদে ৫০ টাকার প্লেটের জন্য ১৫০ টাকা করে আদায় করছেন। এতে পৌরবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণির আমতলী পৌরসভায় প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ বসবাস করেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পৌরসভার ৭ হাজার পরিবারের জন্য খানা প্লেট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতি প্লেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ টাকা।

তবে গত ১৩ মে ইউএনও রোকনুজ্জামান খাঁন পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর টেন্ডার ছাড়াই নতুনভাবে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে কাজটি ‘দেশ মঙ্গল পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে করানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষরবিহীন রশিদে টাকা নিচ্ছেন।

পৌরসভার মাজার রোড এলাকার মিজানুর রহমান তালুকদার ও মন্নান বয়াতি বলেন, ৫০ টাকার প্লেটের জন্য ১৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

সবুজবাগ এলাকার গাজী ইউসুফ, সৈয়দ নজির আহম্মেদ ও নিলুফার ইয়াসমীন বলেন, আমরা নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করি। এরপরও অতিরিক্ত টাকা আদায় অন্যায়।

পৌরসভার একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পৌর প্রশাসক রোকনুজ্জামান খাঁন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের সিদ্ধান্তে কোন রেজুলেশন বা টেন্ডার ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশ মঙ্গল পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মালিক দেলোয়ার আকন বলেন, পৌর প্রশাসক অনুমতি দিয়েছেন, তাই আমরা কাজ করছি।

পৌর সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।

অন্যদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পৌর প্রশাসক ও সচিবই বিষয়টি জানেন।

এ বিষয়ে জানতে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

পৌরবাসী বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..