বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাঙ্গাবালীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম কক্সবাজারে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জসিমের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ বেতাগীতে চাঁদাবাজী ও সালিশ-বানিজ্য রুখতে বিএনপি’ র মাইকিং যেকোনো মূল্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার বদ্ধ পরিকর : শারমীন এস মুরশিদ দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাভোসে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : তুলে ধরা হবে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : চুরি যাওয়া সম্পদ ফেরত পেতে সহায়তা কামনা ভালবাসা এমনি হয়: রিমি কবিতা বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বামনা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি নেছার, সম্পাদক এনামুল

করোনা থেকে বাঁচতে টিকার ১১ ডোজ গ্রহণ এক বৃদ্ধর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬১২৩ বার পঠিত

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাইকে দুই ডোজ করে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ ক্ষেত্রে তৃতীয় ডোজও নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একে একে ১১ ডোজ টিকা নেওয়ার দাবি করেছেন ভারতের এক বৃদ্ধ। অবশ্য সরকারি কর্তারা এখন পর্যন্ত আট ডোজের কথা স্বীকার করেছেন।

বিবিসির খবর অনুসারে, বিহারের বাসিন্দা ব্রহ্মদেব মণ্ডল ঘটিয়েছেন এই কাণ্ড। ৬৫ বছর বয়সী এ ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত ডাকপিয়ন। শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেই ১১ ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্রহ্মদেব। গত সপ্তাহে ১২তম ডোজ নেওয়ার সময় পড়েছেন তিনি।

মাধেপুরা জেলার বাসিন্দা এ ব্যক্তি কীভাবে এতগুলো টিকা নিলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সিভিল সার্জন অমরেন্দ্র প্রতাপ শাহী বলেছেন, আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ পেয়েছি, তিনি চার জায়গা থেকে আটটি ডোজ নিয়েছেন।

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি টিকাদান শুরুর পর থেকে ভারত মূলত স্থানীয়ভাবে তৈরি দুটি টিকা- কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করছে। এগুলোর দুই ডোজের মধ্যে যথাক্রমে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ ও চার থেকে ছয় সপ্তাহের ব্যবধান রাখার নিয়ম।

দেশটিতে টিকা নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এরপরও ভারতজুড়ে ৯০ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে, যার বেশিরভাগেই সরকার পরিচালিত। এগুলোর মধ্যে অনেক কেন্দ্র রয়েছে যেখানে আগে থেকে অনলাইন নিবন্ধন না করে সরাসরি হাজির হলেই টিকা দেওয়া হয়। নিবন্ধনের জন্য সুবিধাভোগীদের বায়োমেট্রিক কার্ড, ভোটার আইডি বা ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্তত ১০টি নথি জমা দিতে হয়। এসব তথ্য একত্রিত করে ভারত সরকারের টিকা সংক্রান্ত পোর্টাল কোউইনে আপলোড করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ব্রহ্মদেব মণ্ডল একই দিন আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন এবং সেই তথ্যও পোর্টালে রয়েছে।

অমরেন্দ্র প্রতাপ শাহী বলেন, এমনটি কীভাবে ঘটলো তা নিয়ে আমরা হতবাক। মনে হচ্ছে, এটি পোর্টালের ব্যর্থতা। তবে টিকাকেন্দ্র পরিচালনাকারীদের কোনো অবহেলা ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়ার মতে, টিকাদানের তথ্য দীর্ঘ সময় পরে পোর্টালে আপলোড করাই এ ঘটনা ঘটার ‘একমাত্র উপায়’।

সরকারি ওয়েবসাইট হিসাব রাখতে না পারলেও ব্রহ্মদেব কাগজে লিখে প্রত্যেকটি ডোজ নেওয়ার তারিখ ও সময় হিসাব রাখতেন। তার দাবি, তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ ডোজ টিকা নিয়েছেন।

এ বৃদ্ধ জানান, তিনি মাধেপুরার কেন্দ্রগুলো ছাড়াও পাশের দুটি জেলায় গিয়ে টিকা নিয়েছেন, এর একটি অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে। পোর্টালে নিবন্ধনের জন্য তিনি ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন।

ব্রহ্মদেবের দাবি, তিনি ডাকপিয়ন হওয়ার আগে হাঁতুড়ে চিকিৎসা করতেন, তাই ‘অসুখ-বিসুখ সম্পর্কে কিছুটা জানেন’। তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার পর আমার শরীরের ব্যথা ও যন্ত্রণা চলে যায়। আগে হাঁটুতে ব্যথা হতো এবং লাঠি নিয়ে হাঁটতাম। এখন আর হয় না। আমি ভালো আছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..