শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নলছিটিতে শতাধিক সনাতন ধর্মালম্বীর বিএনপিতে যোগদান আমতলীতে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার মিলে মিশে নিয়োগ পরীক্ষা! অধ্যক্ষের ছেলে ও দাতা সদস্যের ছেলের স্ত্রী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের বাবার পরলোকগমন রাইজ এবাভ অল ২০২৫: স্বপ্ন, সাহস আর নেতৃত্বের উৎসবে অনুপ্রাণিত হলো হাজারো মানুষ তাড়াইলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ পালিত তাড়াইলে ইসলামী যুব আন্দোলনের নবাগত সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত নলছিটিতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত পটুয়াখালীতে দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি সাব্বির সম্পাদক তাওহীদ

গ্রাহক পর্যায়ে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৯৩২ বার পঠিত

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, এখনই গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়বে না। কিন্তু এরই মধ্যে বিতরণ কোম্পানিগুলো মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ভাষ্য, পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বেড়ে গেছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণার ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে তিন বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বরাবর প্রস্তাব পাঠিয়েছে। একই উদ্দেশে প্রস্তাব তৈরি করছে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। শিগগিরই তারা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা বিইআরসিতে পাঠাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিইআরসির বিদ্যুৎ বিষয়ক সদস্য বজলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কয়েকটি কোম্পানির প্রস্তাবনা পেয়েছি। পাইকারিতে দাম বাড়ানোর ফলে তাদের ব্যয় বেড়ে গেছে, এই যুক্তিতে তারা মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করেছে। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত জানাব।

নিয়ম অনুযায়ী, বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হলে সেটা যাচাইয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানি শেষে ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হয়।

সে হিসাবে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে। পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হলে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। বিদ্যুতের দাম যেহেতু প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে, সেক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিইআরসির সঙ্গে আলোচনায় আইএমএফের প্রতিনিধিরা গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি এবং মূল্যনির্ধারণের সুযোগ সম্পর্কেও জানতে চান। ধারণা করা হচ্ছে, এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনে রিভিউ প্রস্তাব পাঠায় পিডিবি। এ রিভিউ প্রস্তাবের ভিত্তিতেই সোমবার পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিইআরসি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..