বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক বেতাগীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত কেন্দুয়া আটপাড়া বিএনপিতে জনমত জরিপে এগিয়ে দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল রংপুরে মাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড আমতলীতে স্কুল শিক্ষককে অপহরণ করে বর্বর নির্যাতন, পানির বদলে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ তাড়াইলে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে লগী-বৈঠার ভয়াল হত্যাযজ্ঞে শহীদদের স্মরণে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল সওজ কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশব্যাপী আন্দোলন: পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি মোরেলগঞ্জে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, ঐক্য আর উদ্দীপনায় মুখর পুরো শহর রংপুরে জাপা ছেড়ে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান

কেন্দুয়া আটপাড়া বিএনপিতে জনমত জরিপে এগিয়ে দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল

নিজস্ব প্রতিনিধি নান্দাইল :
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৭৫৪ বার পঠিত
দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল.......................ছবি সংগৃহীত

নেত্রকোনা জেলার সংসদীয় আসন কেন্দুয়া ও আটপাড়া নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল । পৌরসভার সদর দিগদাইর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল রাজনৈতিক জীবন পারিবারিক ভাবে শুরু হয়। বড় ভাই আবু সাদেক ভুইয়া দীর্ঘ দিন কেন্দুয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯৮৮ সনে মারা যাওয়ার পরে ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল রাজনীতির মাঠে হাল ধরেন এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কেন্দুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পরিক্রমায় সাধারণ মানুষের সেবায় নিজকে উজাড় করে দিয়ে জীবনে পেয়েছেন একজন সজ্জন মানুষ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম। সংসদীয় আসন কেন্দুয়া ও আটপাড়া তৃনমুল পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সকল স্তরের মানুষের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক।

রাজনীতির বাইরেও রয়েছে ব্যক্তি ইমেজ। যার দরুন বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদককে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে পরাজিত করে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল ব্যানারে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সনে দ্বিতীয় বারের মতো কেন্দুয়া সদর ইইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে জনসেবা করার সুযোগ ঘটে।

পরবর্তীতে ২০০৫ সনে কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০২ সনে কাউন্সিলের প্রত্যক্ষ ভোটে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কেন্দুয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মো: রফিকুল ইসলাম হিলালী। বিগত সতের বছর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অসংখ্য নেতা কর্মী জেলে গিয়েছেন। ওই দুর্দিনে তিনি আর্থিক ও আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে সাপোর্ট দিয়েছেন। ফলে কেন্দুয়া ও আটপাড়া তৃন মুল থেকে উপজেলা সদরের সিংহভাগ নেতা কর্মীদের কাছে দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক নেতা হিসাবে স্বীকৃত। অনেকে মনে করেন উক্ত আসনে যদি এই ত্যাগী নেতা মনোনয়ন পান তাহলে অনায়াসে আসনটি পাবেন এবং তা হবে দলের সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ অনেকে মনে করেন দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল পৌর সদরের বাসিন্দা।

পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে রয়েছে সুদীর্ঘ কালের আধিপত্য বলয়। রয়েছে পারিবারিক ইতিহাস ঐতিহ্য ও মেধা শ্রম আর মানুষের ভালোবাসা । যা অন্য জন ইচ্ছে করলেই তা সহজে অর্জন করতে পারবে না । নির্বাচন যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসংযোগের চিত্র বলে দিচ্ছে ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলালের ইমেজ।

ফলে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি হাইকমান্ড যদি কেন্দুয়া আটপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের সঠিক চিত্র গোয়েন্দাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে মনোনয়ন নিশ্চিত করেন তাহলে দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল এর বিগত দিনের রাজনৈতিক ফিরিশতি এক নজরে উঠে আসবে সচেতন মহলের ধারণা। কেননা বিগত আওয়ামী আমলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল। নিজ পরিবারের লোকজন ও অসংখ্য নেতা কর্মী মিথ্যা মামলা হামলা শিকার হয়েছে। এদেরকে নিরাপদে রাখতে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন ও মুক্তি বিষয় গুলো নিজে পরিচালনা করছেন। যা বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন বিগত দিনের রাজনৈতিক হামলা মামলার কি পরিমাণ শিকার হয়েছে তা যদি ফেসবুকের ফুটেজ রেকর্ড গুলো ঘাটাঘাটি হয় তাহলে কি পরিমাণ হেনস্তার শিকার হয়েছেন তা সহজেই অনুমেয়। এবং দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।

কেন্দুয়া আটপাড়া বিএনপিতে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কার ভাগ্যে জুটবে সেই নমিনেশন। যদি দল যথাযথ জরিপের মাধ্যমে মনোনয়ন নিশ্চিত করেন তাহলে এর সিদ্ধান্ত হবে সময়োপযোগী এবং রাজনীতির সঠিক মুল্যায়ন। এমনটাই মনে করছে কেন্দুয়া আটপাড়া উপজেলার নিরপেক্ষ ভোটাররা।

মনোনয়ন বিষয় জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল বলেন, আমি মনোনয়ন নিয়ে শতভাগ আশাবাদী। কারণ বিগত আওয়ামী লীগের আমলে কি পরিমাণ নির্যাতিত হয়েছি এবং আমার সাথে যারা ছিল তারা কি পরিমাণ নির্যাতিত হয়েছে তা সকলেই অবগত। আমি তাদেরকে জেল হাজত থেকে মুক্তি দিতে অর্থনৈতিক সহ আইনী ভাবে মোকাবিলা করেছি যা আমজনতা ও জানে।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..