বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বেতাগীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা: তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ইয়াসের খান চৌধুরী মির্জাগঞ্জে সমবায় দিবস পালিত প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি! প্রবাসে দলের গতি বাড়াতে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: দুবাই থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে স্বাগত জানালেন ইউএই কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি!

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫৬ বার পঠিত

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসায় প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে দাতা সদস্যের ছেলের বউকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন আকনের যোগসাজশে দাতা সদস্য আব্বাস মৃধার ছেলের বউ আল্পনা আক্তারকে নিয়োগ দিতে দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ডিজির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

পরীক্ষার্থী তামান্না ও সাবিনা আক্তার অভিযোগ করেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষায় আল্পনাকে চাকরি দেওয়া হয়। তাঁরা জানান, অধ্যক্ষ আল্পনাকে চাকরি দেওয়ার জন্য দাতা সদস্যের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁরা সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুদক, বরগুনা জেলা প্রশাসক ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১১ জন প্রার্থী আবেদন করলেও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অধ্যক্ষের ছেলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেদওয়ানুল ইসলাম আবির আকন, ভাগ্নে আরিফুর রহমান এবং দাতা সদস্য আব্বাস মৃধার ছেলের বউ আল্পনা আক্তার।

গত শনিবার ৩৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ অনুসারে, পরীক্ষার আগেই আল্পনার কাছে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই পরদিন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং রবিবার আল্পনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা বলেন, এটা একটি সাজানো নিয়োগ বোর্ড। অধ্যক্ষের ছেলে, ভাগ্নে ও দাতা সদস্যের ছেলের বউ—এই তিনজনই উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে অনিয়ম হয়েছে, পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..