বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বেতাগীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা: তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ইয়াসের খান চৌধুরী মির্জাগঞ্জে সমবায় দিবস পালিত প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি! প্রবাসে দলের গতি বাড়াতে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: দুবাই থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে স্বাগত জানালেন ইউএই কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত,

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫০ বার পঠিত
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সিকান্দার খালী গ্রামে প্রতিবেশীর ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে মামুন মিয়া, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বাবা হুমায়ুন কবির বয়াতি ও মা মোরশেদা বেগম রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মামুন মিয়ার একটি ছাগল প্রতিবেশী নসা পঞ্চায়েতের খেতে লাগানো কলমি শাক খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও নসার স্ত্রী তাসমিমা বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে লাথি মারেন। পরে তাসমিমা বেগম হুমকি দিয়ে চলে যান। বিকেল তিনটার দিকে মামুন মিয়া ও তার স্ত্রী দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জানালা ও দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বেধড়ক মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ছাগল খেতে যাওয়া নিয়ে সকালে ঝগড়া হয়েছিল। বিকেলে হঠাৎ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার আর নগদ টাকা নিয়ে যায়।

মামুন মিয়া অভিযোগ করেন, নসা পঞ্চায়েত ও জালাল আহমেদ মৃধার নেতৃত্বে আল-আমিনসহ ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। বাবা-মা বাঁচাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে।

আহত হুমায়ুন কবির বয়াতি বলেন, ছেলে-বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই, তখন আমাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।

প্রতিবেশীরা জানান, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত ছিল এবং তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নসা পঞ্চায়েত বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..