শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা গুমের ঘটনায় প্রধান ভূমিকা পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসি’র: তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন বরগুনার পাথরঘাটায় নাচনাপাড়ায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধে নৌবাহিনীর সহায়তায় সাকো নির্মাণ পরিবেশ রক্ষায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির কোরবানির ত্যাগে থাকুক পরিচ্ছন্নতার বার্তা নান্দাইলে অনাড়ম্বর পরিবেশে দৈনিক ইনকিলাবের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বরগুনায় জেলা প্রশাসনের উদ্দোগে ধূমপান ও তামাক বিরোধী এক কর্মশালা অনুষ্টিত সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের দপ্তর বিভাগের নতুন নেতৃত্বে হুমায়ুন কবির ও সালমান মাহমুদ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ১৭ হাজার শিশু

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৫০২ বার পঠিত
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। এর মধ্যে  মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে ১৭ হাজার শিশু। আর প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে। ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ৬ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে আড়াই লাখের মতো শিশু। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশু অপুষ্টির শিকার। আর অপুষ্টির শিকার শিশুদের মধ্যে প্রায় ৭ ভাগ, অর্থাৎ প্রায় ১৭ হাজার শিশু মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।.

ইউনিসেফের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ফারিয়া সেলিম বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে ১ লাখ ৭৬ হাজার শিশু। এসব শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো হচ্ছে। একইসঙ্গে এসব শিশুকে নিউট্রিশন স্ক্যানিং করা হবে এবং ১ লাখ ১৮ হাজার শিশুকে ভিটামিন ডি-১ ক্যাপসুল দেওয়া হবে। উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালংসহ সব রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবখানে কাজ করছে ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য বিভাগ।’.

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, ‘অপুষ্টিতে ভোগা রোহিঙ্গা শিশুরা যথাসময়ে চিকিৎসা না পেলে মারা যাবে। অনেক রোহিঙ্গা শিশু এই ধরনের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। তাই পুষ্টি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে যেসব বাচ্চা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে তাদের আলাদা করা হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।’.

গত সপ্তাহে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার মধ্যে শিশুর সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার। এছাড়াও গর্ভবর্তী মায়েদের পাশাপাশি রয়েছে বয়স্ক রোগীও। এরমধ্যে ৩৬ হাজারেরও বেশি এতিম শিশু রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানবিক সহায়তার পাশাপাশি  তাদের স্বাস্থ্যসেবাও নিশ্চিত করছে সরকার। স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের সুস্থ করে তুলতে নানা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।.

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। এরপর থেকে এখনও সীমান্ত পেরিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে এসেছে ৬ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এসব শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় কলেরা, হাম ও রুবেলাসহ বিভিন্ন রোগের টিকাদানের পর এবার শুরু হয়েছে ‘নিউট্রিশন অ্যাকশন সপ্তাহ’।  ১৫ নভেম্বর থেকে এই কার্যক্রম চলছে। ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় সরকার এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..