মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত চুয়াডাঙ্গা এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী রেজাউল হক বিশ্বাস আর নেই ডাকসু নির্বাচন: যা জানা দরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সারা দেশে পূজা উদযাপিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ তাড়াইলে আছিয়া খাতুন মহিলা মাদ্রাসার অভিভাবক সম্মেলন, দোয়া ও পুরষ্কার বিতরণ মানিকগঞ্জে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার আমতলীতে সাবেক স্বামীকে হত্যা করতে কিশোর গ্যাং ভাড়া! স্ত্রীসহ চারজন গ্রেপ্তার দেবীগঞ্জে খড়ের গাদায় চাপা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করতে কাজ করছে দুই ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক ও যুবলীগ নেতা মনির আলাল দুলাল দুই ভাই আবারও বেপরোয়া

পটুয়াখালীতে হস্তান্তরের আগেই ৮২ কোটি টাকা মূল্যের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনে ফাটল

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮৯৭ বার পঠিত
পটুয়াখালী নবনির্মিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন হস্তান্তরের আগেই বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন,নিম্নমানের কাচামাল দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় কাজ শেষ হবার আগেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। আর ব্যবহারের আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে বহুতল এ ভবনটি। তবে গণপূর্ত অধিদপ্তর বলছেন নির্মাণ কাজ শতভাগ নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষে ২০১৯- ২০ অর্থবছরে “গণপূর্ত বিভাগের” মাধ্যমে ৫ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৮২ কোটি  টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স খান বিল্ডার্স” নামের বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২২ সালের মধ্যে ভবন নির্মান কাজ শেষ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কাজটি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। তবে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভবনটির চারপাশ থেকে বড় বড় ফাটল দেখা গেছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়  নিয়মিত কিছু শ্রমিক ভবনটিকে এখনো কাজ করছেন। তবে ভবনটির বাহিরের এবং ভিতরের অধিকাংশ দেয়ালের বেশ কিছু জায়গায় দৃশ্যমান ফাটল দেখা যায়। শ্রমিকরা ফাটল বন্ধ করার জন্য প্লাস্টার করে যাচ্ছে। কিছু শ্রমিকরা প্লাস্টার করা জায়গায় রংয়ের প্রলেপ দিয়ে ফাটা দাগ দৃশ্যহীন করে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একজন শ্রমিক বলেন বেশ কিছুদিন ধরেই  সুপারভাইজার সঞ্জিব চন্দ্র দাস  নির্দেশে ফাটল বন্ধের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, নবনির্মিত ভবনে কোন ফাটল আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে ত্রুটিপূর্ণ ভবন আমরা হস্তান্তর নেবো না।
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, এ ব্যাপারে আমি আপনাকে কোন তথ্য দিতে পারবো না। যদি কিছু জানতে চান তবে  নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাস করুন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন হস্তান্তরের জন্য প্রায় প্রস্তুত। ফাটলের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি ভবন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবো।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..