বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দুবাইয়ে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশ ফল উৎসব ২০২৫ ঋণ পরিশোধের ভাবনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন নির্বাচন: চেয়ারম্যান সাখাওয়াত মহাসচিব মোহাম্মদ তাজুল নান্দাইলে খুররম খান চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশনকে মৃত ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা তাড়াইলে বৃষ্টির অভাবে পাট চাষে ধস, সোনালী আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত কৃষক টেলিগ্রাম অ্যাপে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মুলহোতাসহ গ্রেফতার ২

আমরা গরিব মানুষ মাইয়া জন্ম দিয়া কি অপরাধ করছি

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৫৯৩৩ বার পঠিত

মনজুর মোর্শেদ তুহিন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের আশুরার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. ছালাম বাচ্চু কর্তৃক সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অশ্লীল আচরণ, কুপ্রস্তাব, অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুর দুই ঘটিকায় বাউফল উপজেলাধীন নগরের হাট, বটকাজল এলাকায় মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ফারজানার বাবা আশ্রাফ মৃধা বলেন, শিক্ষকের চরিত্র যদি খারাপ হয় তাহলে আমরা মেয়েদের কিভাবে লেখাপড়া করতে স্কুলে পাঠাব। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিবাদ করছি এজন্য শিক্ষক বাচ্চু আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে এবং আমাদের ঘড়-বাড়ি কুপিয়ে ভেঙে ফেলেছে।

আমরা গরিব মানুষ মাইয়া জন্ম দিয়া কি অপরাধ করছি। ফারজানার দুই ফুপু আসমা বেগম ও সাথী বেগম বলেন, যদি আমারা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেই তাহলে আমাদের বাড়ি ছাড়া করবে, এছাড়া আরো হুমকি-ধামকি এবং মামলার ভয় দেখায়। আমরা এখন মেয়ে নিয়ে কোথায় যাবো কার কাছে যাবো, আইন বলে হেগো হাতের মধ্যে। সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর আকন বলেন, আশুরার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাচ্চু সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মোসা. ফারজানা (১৩) দীর্ঘদিন ধরেই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে ফ্রি টিউশন পড়িয়ে আসছিলেন। বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অপহরণ করার অশ্লীল ছবি তোলার চেষ্টা এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। আমরা স্থানীয়ভাবে অনেকবার বিচার সালিশি করেছি মুচলেকা নিয়েছি কিন্তু তাতেও সে পরিবর্তন হয় নাই।

সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক আ. ছালাম বাচ্চু ওই গ্রামে (সুধী) ব্যবসায়ী নামে বেশ সুনাম রয়েছে। অপরদিকে রয়েছে একাধিক মামলার আসামি। পূর্বে ওই মামলায় বেশ কিছুদিন জেল হাজতে থাকতে হয়, এর আগেও তিনি তার বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন যা ওই ছাত্রীদের পরিবার মান সম্মানের ভয়ে মুখ খোলেনি।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এদিকে প্রভাবশালী স্কুলশিক্ষক তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীর বাবা আশরাফ মৃধা। সমাজে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মানুষ শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকতে পারেন না বলে জানান এলাকার ব্যক্তিরা।

মানববন্ধনে অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার শাস্তির দাবি জানান।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..