বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৪ শিশু নান্দাইলে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ইউএনওর ভিজিএফ চাল বিতরণ ভোটাধিকার চাইলে সেটি যদি ‘অপরাধ’ হয়, তবে বিএনপি সেই ‘অপরাধ’ বারবার করবে: ড. কাজী মনির গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা স্থিতিশীল বাজারে স্বস্তিতে ক্রেতারা : আসিফ মাহমুদ সমৃদ্ধির পথে যেতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মুজিবনগরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হবে জাপান, বাড়বে সে দেশের বিনিয়োগও : প্রেস সচিব এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট

পটুয়াখালীতে ডেঙ্গুর সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণহীন

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
  • ৫৯১৬ বার পঠিত
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা চালালেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গুর ধরনেও কিছু পরিবর্তন আসায় এর প্রকোপ বেশি, রোগীর ক্ষতির আশংকাও বেশি।
এছাড়াও পটুয়াখালী জেলার প্রতিবেশী জেলাগুলো থেকেও বিভিন্ন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট হাসপাতালে।
 বৃহস্পতিবার (২০শে জুলাই) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৮জন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন রোগীর সংখ্যা ২৭ জন। ছারপত্র পেয়েছে ১৭ জন। পুরাতন ভবনের সি-ব্লক এর ১৬৮ নং ওয়ার্ড ডেঙ্গু রোগীর জন্য নির্ধারণ করলেও রোগীর চাপে হাসপাতালের করিডোরে অতিরিক্ত ২১ টি সহ মোট ৪৩টি বেড বসানো হয়েছে। তবে নারী পুরুষ ও শিশু রোগীদের একই সঙ্গে পাশাপাশি বেডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এবছর জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির সংখ্যা ছিল শুন্য তবে মে -২০২৩  থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩৪ এবং এ পর্যন্ত মোট ছারপত্র পেয়েছেন ১৮৬ জন। আই সি ইউ তে ভর্তি হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছেন একজন। তবে ডেঙ্গুতে সংক্রামিত হয়ে পটুয়াখালীতে কোন মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে সরকারি ভাবে ডেঙ্গু রোগী প্রতি একটি বেড, ফ্রি খাবার, সব ধরনের ঔষধ, মশারি, মশার কয়েল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, ৮ জন ইর্ন্টানি ডাক্তার সহ মোট ১২ জন ডাক্তার এবং তিনটি শিফটে মোট নয় জন সেবিকা নিয়মিত কাজ করে থাকেন।  হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে ৫০ টাকার বিনিময়ে টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে  হাসপাতালের প্রতিটি বহি বিভাগ ,অন্ত বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌরসভার সাথে সমন্বয় করে হাসপাতালের আশপাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার ও জমে থাকা পানি পরিস্কার করা হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..